Friday , 6 June 2025
নিউজ টপ লাইন
দেশের অগ্রযাত্রা যেন থেমে না থাকে কেআইবির জাতীয় কনভেনশনে প্রধানমন্ত্রী

দেশের অগ্রযাত্রা যেন থেমে না থাকে কেআইবির জাতীয় কনভেনশনে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, দেশের যে অগ্রযাত্রাটা শুরু করেছি, সেটা যেন থেমে না থাকে। আমরা শুধু এটুকু চাই, ২১০০ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন যেন অব্যাহত রেখে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (কেআইবি)’র ৬ষ্ঠ জাতীয় কনভেনশন এবং এ উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এবং খাদ্যের জন্য যেন আর কোনদিন বাংলাদেশকে কারো কাছে হাত পাততে না হয়, সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। এ ব্যাপারে কৃষিবিদদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর যেন বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে ভিক্ষার হাত বাড়াতে না হয় সেদিকে বিশেষভাবে কৃষিবিদরা লক্ষ্য রাখবেন, আমরা সেটাই চাই। এইটুকুই আপনাদের কাছে অনুরোধ করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘সামনে আমাদের নির্বাচন আমরা একটানা দুইমেয়াদে থাকলাম (সরকারে), তৃতীয় মেয়াদে জনগণ ভোট দিলে আসব, না দিলে নয়। কিন্তু আমরা চাই, যে অগ্রযাত্রাটা শুরু করেছি, বাংলাদেশকে  খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি, সেটা যেন থেমে না থাকে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের আওয়ামী লীগের নীতি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করব, কারো কাছে হাত পাতব না। আর বিএনপি’র নীতি খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়া যাবে না, বিদেশ থেকে ভিক্ষা আনতে হবে।’ তিনি এ সময় কৃষিক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিজ্ঞানী, কৃষিবিদসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু আমাদের এখন এসব পণ্যে ভ্যালু অ্যাড করতে হবে, প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে হবে। কারণ আমাদের দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে, বিদেশে বাজারও তেমনি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই এগুলো আমরা দেশে যেমন বিক্রি করতে পারব তেমনি বিদেশেও রপ্তানি করতে পারব। তাই কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণের দিকে আমাদের বিশেষভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। সেজন্য আমরা উত্সাহিত করছি, আমাদের বিনিয়োগটা যেন এদিকে হয়। আমরা তাহলে অর্থনৈতিকভাবে আরো শক্তিশালী হতে পারব।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে আবার খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করে। কারণ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশ থেকে নাকি খাদ্য সাহায্য আসবে না। লুটপাটও বন্ধ হয়ে যাবে। রাসায়নিক সার, সেচ, জ্বালানি তেল এবং কৃষি যন্ত্রপাতি সহজলভ্য করার জন্য তার সরকার কৃষিতে বিপুল ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বর্গাচাষিদের মধ্যে জামানত ছাড়াই নামমাত্র সুদে কৃষিঋণ দেওয়া হচ্ছে।

 

তাঁর সরকার কৃষি শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ ইন এগ্রিকালচারকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে, পটুয়াখালী কৃষি কলেজ ও দিনাজপুরের হাজী দানেশ কৃষি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও কৃষি সংশ্লিষ্ট শাখা খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কেমন হবে সেই পরিকল্পনা করে আমরা ‘ডেল্টা প্ল্যান’ করেছি। সেখানে কৃষি ও পানিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ব্লু-ইকোনমি শক্তিশালী করার জন্য সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্রও করা হয়েছে।

 

কেআইবি সভাপতি এএমএম সালেহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, আইএফডিসি’র প্রেসিডেন্ট এবং সিইও স্কট জে অ্যাঞ্জেল এবং কেআইবি মহাসচিব মো. খায়রুল আলম প্রিন্স প্রমুখ। কৃষিবিদ ড. মীর্জা আব্দুল জলিল, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মান্নান এবং কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। কৃষিক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে কৃষিবিদ বাহাউদ্দিন নাছিমকে কেআইবি’র পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা পদকে ভূষিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর হাতে এই পদক তুলে দেন।

 

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

সর্বশেষ নিউজ

ফেসবুক পেইজ The Daily Neighbour

ডেইলি নেইবার আর্কাইভ

June 2025
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
Scroll To Top