কাপালির স্থবির হৃদয়ে প্রাণের সঞ্চার
ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম আসরের আইকন ক্রিকেটার ছিলেন অলক কাপালি। সেই কাপালি বিপিএলের থ্রি’তে কোনো দল পাননি। ভাবা যায় ছয় ফ্রেঞ্চাইজির একটিও- টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম হ্যাটট্রিক পাওয়া কাপালিকে দলে নেয়নি। বিপিএল ‘থ্রি’তে প্লেয়ার্স ড্রাফটে ১৩০ স্থানীয় ক্রিকেটারের মধ্যে থেকেও বিক্রি হননি কাপালি!
অথচ স্ট্রোকমেকার হিসেবে সুখ্যাতি থাকা কাপালি জাতীয় ক্রিকেট লিগের গত দুই আসর ধরে নিয়মিত পারফর্ম করে যাচ্ছেন। চিন্তা করে রেখেছিলেন এবারের বিপিএলের তৃতীয় আসরে আবারও স্ট্রোকমেকার হিসেবে নিজের সুখ্যাতি ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন। খেলোয়াড়দের লটারিতে অবিক্রীত থেকে সেই পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়!
কিন্তু প্লেয়ার্স ড্রাফট প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার এক ঘন্টা পর আবারও প্রাণ ফিরে পান কাপালি। ডানহাতি এই অলরাউন্ডারের স্থবির হৃদয়ে প্রাণের সঞ্চার ফিরিয়ে দেন বিপিএলের ফ্রেঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
রাইজিংবিডির সঙ্গে আলাপকালে কাপালি বলেন, ‘লটারি শেষ হওয়ার ঘন্টা খানেক পর কোচ সালাউদ্দিন আমাকে ফোন দিয়ে কুমিল্লায় খেলার কথা জানায়।’ তবে এভাবে দল পাবেন তা চিন্তাও করেননি। ধারণা করেছিলেন অন্যান্য দশটা সিনিয়র ক্রিকেটারের মত তাকেও কোনো না কোনো ফ্রেঞ্চাইজি বেছে নিবেন। সে সব হয়নি বলে জেদ করে বসে আছেন তা না। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স যেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন তা কাজে লাগাতে চান কাপালি।
‘অনেক আশা করেছিলাম লটারি পর্বে আমাকে হয়তো কোনো ফ্রেঞ্চাইজি নিবে। কিন্তু যখন নিল না তখন খুবই হতাশ হয়েছি। এখন যে সুযোগটি পেয়েছি সেটার সর্বোচ্চ ব্যবহার আমি করতে চাই। আমার উপর আস্থা রাখায় তাদেরকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আশা করছি তাদের আস্থার প্রতিদান আমি দিতে পারব।’