এ ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত পাকিস্তানে ৫২ জন ও আফগানিস্তানে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে কয়েক শ’। শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ২৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে হিন্দুকুশ অঞ্চলের ২১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ৪০ সেকেন্ড। ভারতের দিল্লি, কাশ্মীর, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
পাকিস্তানের পেশোয়ার ও উত্তর পশ্চিম সীমান্ত এলাকার সোয়াত, বাজাউর, কাল্লার কাহার, সারগোদা, কাসুরে অধিকাংশ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। পেশোয়ার শহরেই ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সোয়াতে নারী-শিশুসহ কমপক্ষে ৮ জন মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া আফগানিস্তানে টাকার প্রদেশে মেয়েদের একটি বিদ্যালয়ে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নাংগাহারে ৭ জন মারা গেছেন।
পাকিস্তানের পেশোয়ার, সোয়াতসহ ভূমিকম্প আঘাত হানা বিভিন্ন এলাকায় হাসপাতালগুলোতে শত শত আহত মানুষ ভর্তি হয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও পেশোয়ারের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে। বড় ভূমিকম্পটির ৪০ মিনিট পর একই এলাকায় আবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক