শুরু থেকেই খেলা যে গতিতে এগুচ্ছিল তাতে ম্যাচে ফল হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৩৭৮ রানের জবাবে ইংল্যান্ড করেছিল ২৪২ রান। ১৩৬ রানের লিড নিয়ে পাকিস্তান ৬ উইকেটে ৩৫৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। এতে ইংলিশদের সামনে জয়ের জন্য ৪৯১ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়।
তাই ম্যাচে জয়ের পাল্লা ভারী ছিল পাকিস্তানের দিকেই। কারণ ৪৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় তুলে নিলে ইংলিশদের সৃষ্টি করতে হতো নতুন ইতিহাস। তার ওপর রবিবার চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩০ রান তুলতেই ইংল্যান্ড হারিয়েছিল ৩ উইকেট। তথাপি সোমবার ম্যাচের শেষ দিনে ইংলিশরা লড়েছে অন্তত ম্যাচটা ড্রয়ের জন্য।
ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা কাঙ্ক্ষিত সেই ড্রয়ের লক্ষ্যে প্রাণপণ চেষ্টা করেছে। জো রুটের ৭১ ও আদিল রশিদের ৬১ রান সেই সেদিক থেকে খানিকটা আশান্বিত করেছিল অ্যালিস্টার কুক বাহিনীকে। তাতে অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি। বিশেষ করে শেষ উইকেট জুটির জন্য কাজটা একটু কঠিনই হয়ে পরেছিল। ড্র করতে শেষ জুটিকে খেলতে ক্রিজে টিকে থাকতে হতো ১১ ওভার। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ক্রিজ তাদের এতোটা সমাদর করেনি। জেমস অ্যান্ডারসন ও আদিল রশিদ জুটি এরপরও মোকাবেলা করেছেন ২৭ বল। তথাপি ইংল্যান্ড যখন অলআউট হয়েছিল তখনো দিনের খেলার ৩৯ বল বাকি ছিল।
শেষ জুটি তথাপি বিপজ্জনক কিছুর আভাস দিচ্ছিল পাকিস্তানকে। তবে পাকিস্তানের জন্য অতি কাঙ্ক্ষিত শেষ ব্রেক-থ্রো এনে দিয়েছেন ইয়াসির শাহ। ৭ ফিল্ডার বেস্টিত রাশিদ কাভারে হাল্কা ড্রাইভ করেছিলেন। তাতেই যে ক্যাচ ওঠে সেটি তালুবন্দী করেছেন জুলফিকার বাবর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান : ৩৭৮ এবং ৩৫৪/৬ ডিক্লেয়ার, ওভার ৯৫ (ইউনিস ১১৮, মিসবাহ ৮৭, আসাদ ৭৯; অ্যান্ডারসন ২/২২, উড ২/৪৪)
ইংল্যান্ড : ২৪২ এবং ৩১২/১০, ওভার ১৩৭.৩ (রুট ৭১, রাশিদ ৬১, বেল ৪৬; ইয়াসির ৪/৮৭, বাবার ৩/৫৩)
ফল : পাকিস্তান ১৭৮ রানে জয়ী