স্পোর্টস ডেস্ক : প্রতিশোধের কথা মুখে না বললেও মাঠের লড়াইয়ে সেটাই নিল চট্টগ্রাম আবাহনী। গ্রুপ পর্বের হারের মধুর প্রতিশোধ ফাইনালে নিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বাগতিকরা।
চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী দলটির বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ৩-১ গোলে জেতে স্বাগতিকরা। চ্যাম্পিয়ন দলের এলিটা কিংসলে দুটি ও হেমন্ত একটি গোল করেন। অভিনব বাগের গোলে ম্যাচে প্রথম এগিয়ে গিয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল।
শুক্রবার গ্যালারির ভরা দর্শকের সমর্থন নিয়ে প্রথম এগিয়ে যাওয়ার মতো আক্রমণটি করে চট্টগ্রাম আবাহনীই। দশম মিনিটে জাহিদের ডিফেন্সচেরা পাসে কিংসলে ক্রস দিলেও ইস্ট বেঙ্গলের গোলমুখে থাকা মিঠুন মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন।
ফিরতি আক্রমণেই স্বাগতিক সমর্থকদের স্তব্ধ করে এগিয়ে যায় ইস্ট বেঙ্গল। অভিনবের শটে বল রেজাউল করিমের মাথায় লেগে একটু দিক পাল্টে বোকা বানায় চট্টগ্রাম আবাহনী গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদকে।
মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে এগিয়ে যাওয়া ইস্ট বেঙ্গল ২৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নিতে পারত। অবিনাশ রুইদাসের কর্নারে মোহাম্মদ রফিকের হেড গোললাইন থেকে শেষ মুহূর্তে সোহেল রানা ফেরালে হতাশ হতে হয় আই লিগের তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের।
শুরুর ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়া চট্টগ্রাম আবাহনী সমতায় ফেরার সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছিল। ৩১তম মিনিটে জাহিদের ঝুলিয়ে দেওয়া ফ্রি-কিক কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ইস্ট বেঙ্গল গোলরক্ষক দিবেন্দু সরকার। এরপর হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসের শটও পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৪৩তম মিনিটে দিবেন্দুর দৃঢ়তায় সমতায় ফেরা হয়নি চট্টগ্রাম আবাহনীর। মিঠুনের বাড়ানো বলে জাহিদের বাঁকানো শটও রুখে দেন ইস্ট বেঙ্গলের এই গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর চট্টগ্রাম আবাহনীকে গোল বঞ্চিত করতে পারেননি দিবেন্দু। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে যাওয়া মিঠুনের মাপা চিপে কিংসলের হেড এমএ আজিজের গ্যালারিতে সমতায় ফেরার আনন্দের ঢেউ তোলে।
দ্বিতীয়ার্ধে চার মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ইস্ট বেঙ্গলকে কোণঠাসা করে ফেলে স্বাগতিকরা। ৫৪তম মিনিটে জাহিদের নিচু ক্রসে মিঠুন হেড করতে না পারলে বল পেয়ে যান কিংসলে; স্কোরলাইন ২-১ করতে ভুল হয়নি নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ডের। টুর্নামেন্টে এটি কিংসলের পঞ্চম গোল।
৫৭তম মিনিটে হেমন্তের অসাধারণ হেড রুখতে পারেননি সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত ইস্ট বেঙ্গলের পোস্ট দারুণভাবে আগলে রাখা দিবেন্দু। হেমন্তের গোলে ভালো অবদান রাখে পাঁচ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া কিংসলের মাপা ক্রসটি।
চোট পেয়ে জাহিদ মাঠ ছাড়লে চট্টগ্রাম আবাহনীর আক্রমণের ধার কিছুটা কমে। চার গোল করা এই ফরোয়ার্ডের বদলি হিসেবে মিডফিল্ডার শরিফুল ইসলামকে নামান কোচ শফিকু্ল ইসলাম মানিক। –