Monday , 23 December 2024
নিউজ টপ লাইন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বাংলাদেশে খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বাংলাদেশে খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল

স্টাফ রিপোর্টার :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বাংলাদেশে খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। জেল হত্যা দিবসে সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় একথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আন্দোলন মানুষ পুড়িয়ে মারার আন্দোলন। দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও যুদ্ধপরাধীদের রক্ষা করতে লেখক প্রকাশকদের গুপ্তহত্যা করা হচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে খালেদা জিয়া লন্ডনে বসে বিদেশি হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন।’

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ঘটনাবলি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, মোশতাক আহমেদের পর জিয়াউর রহমান খুনিদের পুনর্বাসিত করেছিলেন।

“খুনিদের বিচার করা হয়নি, বরং বিভিন্নভাবে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে বিচারের পথ বন্ধ করা হয়েছিল।”

“জিয়াউর রহমান খুনিদের রাজত্ব কায়েম করেছিল,” মন্তব্য করে শেখ হাসিনা ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলের কথা তুলে ধরেন।

“খুনের রাজত্ব কায়েম করে দেশকে ভিন্ন পথে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। খালেদা জিয়া একটা সন্ত্রাসী রাষ্ট্র তৈরি করেছিল। জিয়াউর রহমানের পথ ধরে তার স্ত্রী খুনের রাজত্ব  কায়েম করেছিল।”

দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যের বক্তৃতা দিতে ওঠেন সভায় সভাপতি শেখ হাসিনা।

মঞ্চে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম রয়েছেন।

জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং আশপাশের জেলাগুলো থেকে নেতাকর্মীরা বাস-ট্রাকে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকে।

ক্ষমতাসীন দলের জনসভা ঘিরে উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হত্যার পর গ্রেপ্তার করা হয় মুক্তিযুদ্ধের শীর্ষ চার সংগঠক তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে।

একই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারে হত্যা করা হয় জাতীয় এই চার নেতাকে। এরপর থেকে জাতীয় কলঙ্কময় এই দিনটি ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। – See more at: http://www.abnews24bd.com/2015/11/02/87998.php#sthash.NQKw2KWv.dpuf

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

সর্বশেষ নিউজ

ফেসবুক পেইজ The Daily Neighbour

ডেইলি নেইবার আর্কাইভ

November 2015
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
Scroll To Top