ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাঈদ আহমেদ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে ৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন বিচারক।
এদিন কারাগার থেকে ঐশী রহমান ও তার বন্ধু আসাদুজ্জামান জনিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় ৪৯ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন আদালতে বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মা-বাবা খুন হওয়ার পর পালিয়ে যায় ঐশী। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
একই বছরের ১৭ আগস্ট ঐশী রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করে। এর পর ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেয় ঐশী।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এ বি এম সাজেদুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত তিন আসামি হল- ঐশী রহমান, আসাদুজ্জামান জনি ও মিজানুর রহমান রনি ।