অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বাতাসর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে স্কুলে আসা যাওয়া পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো পার্শ্ববর্তী পাইকপাড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের লম্পট ছেলে জুনায়েদ আহমেদ সাগর। বিষয়টি স্কুলের শিক্ষকদের জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এক পর্যায়ে লম্পট সাগর বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
ওই ছাত্রীকে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সাগর ও তার বন্ধু কাউছার শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশন রোড এলাকার সিরাজ প্লাজায় নিয়ে যায়। সেখানে লম্পট সাগর তাকে ধর্ষণ করে। কৌশলে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে তার বন্ধু কাউছার। এভাবে প্রায় সময় লম্পট সাগর ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে।
সম্প্রতি মেয়েটি সাগরের সঙ্গে যেতে অপারগতা প্রকাশ করলে সাগর হোটেলে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কের ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখার কথা জানায় এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভিডিও চিত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। ফেসবুকে ভিডিও প্রকাশের পর লোকলজ্জার ভয়ে স্কুলে আসা যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে ওই ছাত্রী। এছাড়া কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে সে। ফেসবুকের বিষয়টি গত মঙ্গলবার রাতে প্রকাশ হলে এলাকায় শুরু হয় তোলপাড়।
এ ব্যাপারে স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, ‘আমি দিন আনি দিন খাই। নিজে না খেয়ে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা করানোর চেষ্টা করছি। যে আমার মেয়ের এত বড় ক্ষতি করেছে আমি তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি’।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, ‘এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে’।