মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক সমাপনীর ফলের উপর ভিত্তি করে ট্যালেন্টপুলে (মেধাবৃত্তি) ২২ হাজার ও ৩৩ হাজার জন সাধারণ বৃত্তি পেয়ে থাকে। এবার থেকে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার ও ৪৯ হাজার ৫০০ সাধারণ বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মেধা বৃত্তিপ্রাপ্ত একজন শিক্ষার্থী প্রতিমাসে ২০০ টাকার স্থলে ৩০০ টাকা ও সাধারণ কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ১৫০ টাকার স্থলে ২২৫ টাকা করে পাবেন।’
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, তিন বছর পর্যন্ত বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা এ হারে অর্থ পেয়ে থাকেন। তবে মেধা বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী প্রতি বছরের টাকা বছরের শুরুতে একসঙ্গে নিতে চাইলে মাসিক ২২৫ টাকা হারে নিতে হবে।
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যে বৃত্তির ফল ঘোষণা করা হলেও এবার বৃত্তির সংখ্যা ও অর্থ বৃদ্ধির জন্য দেরি হচ্ছে জানিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল অনুমোদন হয়ে ফিরে এলেই আমরা বৃত্তির ফল প্রকাশ করতে পারব।’
গত ৩১ ডিসেম্বর প্রাথমিক সমাপনীর ফল প্রকাশিত হয়। এতে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৯৮০ জন।
গত ছয় বছর ধরে বৃত্তির জন্য আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক সমাপনীতে শিক্ষার্থীর তুলনায় বৃত্তির পরিমাণ অনেক কম বলে তা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা।