ভারতীয় সংঘ পরিবারের উত্তর-পূর্ব ভারত জয়ের স্বপ্ন ধাক্কা খেল সর্বোচ্চ আদালতে। উত্তরাখন্ডের মতোই অরুণাচল প্রদেশে নির্বাচিত কংগ্রেস সরকারকে অপসারণ নরেন্দ্র মোদি সরকারের ঠিক হয়নি বলে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিলেন। একই সঙ্গে কংগ্রেসের নাবম টুকিকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিরা।
গতকাল মঙ্গলবারই আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক দলগুলোকে সঙ্গে আনতে বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বৈঠকে বসেন। সদ্য গঠিত নর্থ ইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের ব্যানারে এই বৈঠকে দলের সভাপতি অমিত শাহ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক ঘনিষ্ঠ সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব, রামলালাল জিসহ শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতিটি রাজ্যে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে হাজির আঞ্চলিক দলগুলো। বিকেলেই গুয়াহাটি ডিক্লারেশন প্রকাশ করার কথা। কিন্তু তার আগেই সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বেশ বিব্রত বিজেপি।
সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছেন, রাজ্যপাল জ্যোতিপ্রসাদ শইকিয়ার ভূমিকা ছিল অসাংবিধানিক। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী নাবম টুকির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়াও ঠিক হয়নি বলে ডিভিশন বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে মত প্রকাশ করে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন, অরুণাচলে ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বরের আগের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে। অর্থাৎ কংগ্রেসকেই ক্ষমতায় ফেরাতে হবে।
সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ে উল্লসিত কংগ্রেস। দলের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করেছেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের রায় শিরোধার্য। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা নিন, গণতন্ত্র কাকে বলে!’
অন্যদিকে, অরুণাচল প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কালিকো পল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমার হাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তাই সরকার আমিই চালাব। আদালত সরকার চালায় না।’
বিজেপি নেতারা অবশ্য এখনই মুখ খুলতে নারাজ। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক নেতা গুয়াহাটি থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে কিছুটা হলেও হতাশ দলীয় নেতৃত্ব। বিকেলের দিকে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন তাঁরা।