ফুটবল তাঁরা খেলেন শখের বশে। লিঙ্কন রেড ইম্পস দলটির কেউ পুলিশ কর্মকর্তা, কেউ চাকরি করেন দমকলবাহিনিতে। কেউ বা পেশায় ট্যাক্সিচালক, শুল্ক কর্মকর্তা, মোমবাতি প্রস্তুতকারী, কেউ বেকারিতে কাজ করেন, এমনকি আছেন কসাই-ও। জিব্রাল্টারের এই আধা-পেশাদার দলটিই গড়েছে ইতিহাস। নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগে কাল তারা ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে স্কটিশ পরাশক্তি সেল্টিককে!
৪৭ বার স্কটিশ লিগ জেতা সেল্টিকের ঘরোয়া ফুটবলে যেমন ভীষণ দাপট, জিব্রাল্টার ঘরোয়া ফুটবলে লিঙ্কন রেডেরও প্রায় তেমনই। ২০০১ সাল থেকে টানা ১৪টি লিগ জিতেছে তারা। চ্যাম্পিয়নস লিগ বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে অ্যান্ডোরার দল সান্টা কোলোমাকে। সেটি অবশ্য বলার মতো কিছু নয়। কিন্তু তাদের জন্য সেল্টিকের মতো ঐতিহ্যবাহী দলকে হারানো তো রীতিমতো রূপকথা।
৪৮ মিনিটে লিঙ্কন রেডের জয়সূচক গোলটি করা লিও কাসারা পেশায় একজন দেশটির পুলিশ কর্মকর্তা। ইতিহাস গড়া গোলটি করে তাঁর ঘোর যেন কাটতে চাইছে না, ‘পরাবাস্তব! সেল্টিকের মতো বড় দলকে হারানোর স্বপ্ন সবাই দেখে। আজ আমরা সেটা করেছি। জয়সূচক গোল করাটা সারা জীবন গল্প করার মতোই বিষয়।’
ঐতিহাসিক জয়ের পর লিঙ্কন রেডের স্বপ্নের সীমানা অনেক বেড়ে গেছে। সেল্টিকের মাঠে দ্বিতীয় লেগেও অঘটন ঘটানোটা অসম্ভব মনে হচ্ছে না তাদের কাছে। গ্লাসগোতে সেটি যে কতটা কঠিন হবে, তা জানা আছে কাসারার, ‘৫০-৭০ হাজার দর্শকের সামনে সেল্টিকের মাঠে ভীষণ কঠিন হবে, এটা আমাদের জানা আছে। তবে আশা করি, সেখানেও অঘটন ঘটাতে পারব।’