সেবার মান এবং প্রতিযোগিতা বাড়াতে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ১২টি বেসরকারি ল্যান্ডফোন অপারেটরকে এক দশক আগে সেবা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর মধ্যে ১০টি অপারেটরের কার্যক্রমই এখন বন্ধ। বাকি দুটি অপারেটরও নামমাত্র কিছু গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু না থাকায় এসব অপারেটরের কাছে বিটিআরসির বকেয়া ৬৬ কোটি টাকা আদায় নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেসরকারি পিএসটিএন (পাবলিক সুইচড ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) বা ল্যান্ডফোন অপারেটরগুলোর বাজারে টিকতে না পারার বড় কারণ দেশে মুঠোফোনের সহজলভ্যতা। এর পাশাপাশি অপ্রতুল বিনিয়োগ, দূরদর্শিতার অভাব, অবৈধ ভিওআইপি কল আনার মতো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো কখনোই বাজারে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে পারেনি।
বিটিআরসি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে সেবা দেওয়ার জন্য পাঁচটি নেশনওয়াইড ল্যান্ডফোন অপারেটরের লাইসেন্স আছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো র্যাংকসটেল, ন্যাশনাল টেলিকম, টেলি বার্তা, ঢাকা ফোন ও পিপলসটেল। এর মধ্যে র্যাংকসটেলের কাছে ৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, ন্যাশনাল টেলিকমের কাছে ৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা, টেলি বার্তার কাছে ১৭ কোটি ৪ লাখ, ঢাকা ফোনের কাছে ৪ কোটি ২০ লাখ ও পিপলস টেলিকমিউনিকেশনসের কাছে ৩ কোটি ১ লাখ টাকাসহ মোট ৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বকেয়া আছে।