ক্রীড়া ডেস্ক :
যদিও সফরটি হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। ফাঁকা স্লট বের করতে না পারায় বাংলাদেশকে ২০১৭ সালে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই । বাংলাদেশ ও ভারতের একমাত্র টেস্টের দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও ভেন্যু চূড়ান্ত হয়েছে। হায়দরাবাদে হবে দুই দলের ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ। তবে ধারণা করা হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে দুই দলের টেস্ট ম্যাচটি!
শুক্রবার বিসিসিআই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফিক্সচার ঘোষণা করেছে। ফিক্সচার অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি হবে দুদলের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এরপর ১০ থেকে ১৫ দিনের ‘গ্যাপ’ পাবে ভারত। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে। এ হিসেবে দুই সিরিজের মাঝের সময়টাতে ভারতে যাবে বাংলাদেশ।
ওয়ান ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে লিখেছে,‘ইংল্যান্ড সফরের পূর্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলবে ভারত। ২০১৬-১৭ মৌসুমে ঘরের মাঠে মোট ১৩টি টেস্ট খেলবে ভারত। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের পর বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার সফর চূড়ান্ত।’ এ হিসেবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে হায়দরাবাদে শুরু হতে পারে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট ম্যাচ!
বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর শেষ ২৪ জানুয়ারি। এরপর ভারত সিরিজ! যতটুকু জানা গেছে ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশকে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে দেশে ফিরবে। পরে এফটিপি সূচি অনুযায়ী মে পর্যন্ত তাদের কোনো ব্যস্ততা নেই। ভারত সিরিজ না হলে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ফ্রি বাংলাদেশ।
এরপর মে মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে টাইগাররা। ফ্রি থাকায় শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশকে পাঠাতে আগ্রহী বিসিবি। এজন্য দুই বোর্ড নিয়মিত যোগাযোগও করছে। দুদলের মধ্যে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হতে পারে। তবে ভারত সফর হলেও কোনো সমস্যা হবে না শ্রীলঙ্কা সফরে। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতে খেলে পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতেই পারে টাইগাররা।