নিজস্ব প্রতিবেদক:
লাইসেন্স ছাড়া প্রেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ, পরিবহন, বিতরণ, উৎপাদন, শোধন ও মিশ্রণ করা যাবে না। এ আইন লঙ্ঘন করলে ছয়মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই অপরাধ পুণরায় সংঘটিত হলে দ্বিগুণ শাস্তির বিধান রেখে পেট্রোলিয়াম আইন-২০১৬ বিল পাস হয়েছে।
ডিপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সোমবার বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের উপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনীর প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়ে যায়।
পরে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশকৃত আকারে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিলটি ১০ ফেব্রুয়ারি সংসদে উত্থাপিত হয়েছিল।
বিলে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন ক্রমে কোনো তেল বিপণন কোম্পানি প্রথম শ্রেণির পেট্রোলিয়াম ব্যবসা করার জন্য ডিলার নিয়োগ করতে পারবে। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পেট্রোলিয়াম ব্যবসার জন্য ডিলারের পরিবর্তে এজেন্ট নিয়োগ করতে পারবে। কোনভাবেই লাইসেন্স ছাড়া প্রথম শ্রেণির পেট্রোলিয়াম আমদানি, পরিবহন, মজুদ বা বিতরণ করা যাবে না। তবে বিক্রির উদ্দেশ্য ছাড়া লাইসেন্স ব্যতীত ২৫ লিটার পরিমাণ প্রথম শ্রেণির পেট্রোলিয়াম মজুদ করার বিধান আইনে রাখা হয়েছে।
এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া ২ হাজার লিটার পরিমাণ দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির মজুদ ও পরিবহণ করা যাবে। কিন্তু তা এক হাজার লিটার পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। একইভাবে লাইসেন্সধারী মোটরযান বা জ্বালানি ইঞ্জিনের জন্য ৯০ লিটার পেট্রোলিয়াম মজুদ ও পরিবহণ করতে পারবে।
বিলে বলা হয়েছে, ২৫ লিটারের বেশি মজুদ করতে হলে লোকালয়, বাসস্থান বা কর্মস্থলের বাইরে বিচ্ছিন্ন স্থানে করতে হবে। প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিস্ফোরক পরিদর্শক লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স নির্দিষ্ট মেয়াদ, শর্ত, ফি প্রদান সাপেক্ষে কৃর্তপক্ষের মাধ্যমে ইস্যু হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পেট্রলিয়াম সম্পর্কিত ১৯৩৪ সালোর দ্যা পেট্রোলিয়াম অ্যাক্ট আইনটি-১৯৮৬ সনে দ্যা পেট্রোলিয়াম (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স দ্বারা সংশোধন করা হয়। উক্ত আইন দ্বারা পেট্রোলিয়াম এবং অন্যান্য প্রজ্জ্বলনীয় পদার্থের আমদানি, পরিবহন মজুদ, উৎপাদন, শোধন, মিশ্রণ অথবা রিসাইক্লিং-এর মাধ্যমে পুন ব্যবহারযোগ্য করা সংক্রান্ত কার্যাদি সম্পাদন করা হচ্ছে।