জাতীয় ঐক্যের কথা বলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান। আইএস’র নামে যারা দেশে জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে তারা মূলত জামায়াত-বিএনপির দোসর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের জোয়ারকে বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধরনের নাশকতা মূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তারা।
মঙ্গলবার বিকেলে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাজনৈতিক গণপ্রতিরোধ গঠনের লক্ষ্যে ১৪ দল আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
নগরীর মুসলিম হলে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
বক্তারা বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী জাতির এই ক্রান্তি লগ্নেও স্বাধীনতার শত্রু, পাকিস্তানের দোসর জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে পারেননি। তিনি এখনো জামায়াতকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের প্রস্তাব রাখেন যা জাতির জন্য হাস্যকর।
বক্তারা আরো বলেন, ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। ইসলামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। যারা ধর্মকে কলঙ্কিত করতে চায় তারাই ইসলামের নামে আইএস’র ছদ্মাবরনে এসব নাশকতা চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনা দিয়ে এসব জঙ্গিবাদীদের মোকাবেলা করতে হবে।
আমরা এখন এক কঠিন সময় অতিক্রম করছি জানিয়ে বক্তারা বলেন, এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রত্যেকটি কর্মীকে ধৈর্য্যরে সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। জঙ্গিবাদের কুফল সম্পর্কে ছাত্র জনতাকে সচেতন করতে হবে। আমরা বীরের জাতি। বাঙালি যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে জানে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে প্রতিটি গ্রামে মহল্লায় ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। গ্রামে গ্রামে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারী বাড়াতে হবে।
কর্মী সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা আবদুছ ছালাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক জেলা প্রশাসক এম এ ছালাম, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, মাহতাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন বাবুল, এম রশিদ, বদিউল আলম, জাসদ নেতা ইন্দু নন্দন দত্ত, ভাসানী ন্যাপ নেতা অ্যাডভোকেট আলী আহমদ, গণ আজাদী লীগের নুরুল ইসলাম আশ্রাফী প্রমুখ।
উৎসঃ jagonews