নিজস্ব প্রতিবেদক :
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল (সাউথ) ইউনিটে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গ্যাস ভিত্তিক এ ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে আরো ৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৃহৎ এ ইউনিট উৎপাদনে আসায় দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি কমিয়ে আনার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারিগরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির নিজস্ব সাড়ে ১০ একর ভূমির উপর গত ২০১৩ সালে মার্চ মাসে ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল (সাউথ) ইউনিটটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির ঋণ সহায়তায় বৃহৎ এই ইউনিটটি নির্মার্ণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৭শ কোটি টাকা। বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিজস্ব তহবিল থেকে ৪শ কোটি টাকা ও এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির ৩ হাজার ৩শ কোটি টাকা ঋণ সহায়তায় এ ইউনিটের নির্মাণ কাজ করেছেন স্পেনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টিএসকে।
দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছরে নির্মাণ কাজ শেষ করে গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে কমিশনিং কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। পর্যায়ক্রমে প্রায় ৮ মাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গত বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসে এ ইউনিট। আর এই ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে ৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল (সাউথ) ইউনিটে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ জানান, এ ইউনিট থেকে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ইউনিট চালু হওয়ায় দেশের বিদ্যুৎঘাটতি যেমন কমিয়ে আনবে তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করছি।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এমএম সাজ্জাদুর রহমান জানান, ৪৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল (সাউথ) ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়েছে। বর্তমানে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮টি ইউনিট থেকে ১ হাজার ১শ ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। নির্মাণাধীন নতুন ৪৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল (নর্থ) ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে উৎপাদনে আসতে পারে। নতুন এ ইউনিটটি উৎপাদনে আসলে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। সবগুলো ইউনিট চালু হলে দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার অনেকটাই সমাধান হবে।