নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া: বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বাড়ছে জনদুর্ভোগ। দুর্গত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
সরকারি ত্রাণ সহায়তা এখনো সবার কাছে পৌঁছেনি। বেসরকারি উদ্যোগেও কেউ ত্রাণ সহায়তা নিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ায়নি। ফলে যেকোন সময় দুর্গত এলাকায় মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা শাহারুল ইসলাম জানান, সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ১ লাখ ১২ হাজার ৭’শ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এসব বন্যার্তদের জন্য ১ লাখ ২০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই বরাদ্দের মধ্যে জুন মাসে আগাম সতর্কতা হিসেবে ৯০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
সেই চাল এখন বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। নতুন করে ৩০ মেট্রিক টন চাল শুধুমাত্র সারিয়াকান্দি উপজেলার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়ও সারিয়াকান্দিতে ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে বরাদ্দ চেয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।