আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
৬৬ বছর আগের এমন দিনে কোরিয়ার ওপর চাপিয়ে দেয়া মার্কিন যুদ্ধ শুরুর চার দিন পর কেবল ‘নো গান রি হত্যাযজ্ঞে’ নিহত হয় ৪০০ বেসামরিক কোরিয় নারী, পুরুষ ও শিশু।
বলা হয় ইয়ংদোং শহরের কাছে অবস্থিত এই এলাকা থেকে মার্কিন বাহিনীর সপ্তম ক্যাভালরি রেজিমেন্ট সরিয়ে নেয়ার আগে এই নিরপরাধ কোরিয়দের হত্যা করে মার্কিন সেনারা।
এ গণহত্যা চালানো হয় ১৯৫০ সালের জুলাই মাসের ২৫ থেকে ২৯ তারিখে।
নিহতরা দক্ষিণ কোরিয়ার শরণার্থী ছিল বলে নানা সূত্রে বলা হয়েছে। ২০১১ সালে প্রকাশিত দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থে পরিচালিত নো গান রি পিস ফাউন্ডেশনের বর্ণনা অনুযায়ী ওই হত্যাযজ্ঞে নিহত হয়েছিল আড়াইশ থেকে ৩০০ শরণার্থী এবং তাদের বেশির ভাগই ছিল নারী ও শিশু। ১৯৯৯ সালের আগে এই হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে খুব কমই সংবাদ বা তথ্য প্রচার করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে বার্তা সংস্থা এপি জানায় মার্কিন বাহিনীর সপ্তম ক্যাভালরি রেজিমেন্টের সেনারা ওই হত্যাযজ্ঞে বেঁচে যাওয়া কোরিয়দের সাক্ষ্যকে সত্য বলে স্বীকৃতি দেয়।
২০০১ সালের এক তদন্ত-রিপোর্টে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী ওই হত্যাযজ্ঞের কথা স্বীকার করলেও ক্ষমা চাইতে ও ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এক বিবৃতি দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার আইনজীবি ও তদন্ত কর্মকর্তারা এই হত্যাযজ্ঞকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে উল্লেখ করেছেন।
কোরিয় যুদ্ধ চলাকালে মার্কিন সেনারা এ ধরনের আরও অনেক গণহত্যা চালিয়েছে বলে নানা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। ২০০৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার এক তদন্ত কমিশন জানায় ১৯৫০ থেকে ১৯৫১ সালে মার্কিন সেনারা কোরিয়ায় ২০০’রও বেশি বড় ধরনের হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। আর এইসব হত্যাযজ্ঞের বেশিরভাগই ঘটেছে মার্কিন বিমান হামলার মাধ্যমে।