স্পোর্টস ডেস্ক :
টাইগারদের বেশ কিছু দারুণ মুহূর্তের সঙ্গী মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরো নতুন কিছুই দেয়ার বাকি আছে ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের। খুব বেশি দেরি নয়, ১৩ আগস্ট নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরছেন আশরাফুল। তবে বিপিএল কিংবা জাতীয় দল নয়, শুধু বিসিএল, এনসিএল, ডিপিএলের মতো ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলেই আপাতত সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাকে। জাতীয় দলে ফিরতে আরো দুটি বছর অপেক্ষা করতে হবে আশরাফুলকে। কেন?
২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট প্রাথমিকভাবে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আশরাফুল। পরে সেই নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে পাঁচ বছরে আনা হয়। সঙ্গে একটি শর্তও জুড়ে দেয়া হয়। বিসিবি ও আইসিসির অধীনে আয়োজিত দুর্নীতি বিরোধী কর্মশালা ও ট্রেনিং প্রোগ্রামে নিয়মিত অংশ নিলে আরো দুই বছরের সাজা মওকুফ হবে আশরাফুলের।
এই রায় মেনে নিতে না পারা বিসিবি ও আইসিসি প্রথমে ক্রীড়া আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরে তারা সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। তারা আশরাফুলের সঙ্গে একটি বিশেষ রফা করেছিল এভাবে ২০১৬ সালে নিষেধাজ্ঞা কাটলে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও, বিপিএল ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন না তিনি। আশরাফুলও নাকি এই বিশেষ ব্যবস্থায় সায় দিয়েছিলেন।
সে কারণেই এই মুহূর্তে শুধু বিসিএল, এনসিএল, ডিপিএলের মতো তুলনামূলক নিম্নমানের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে আশরাফুলকে। ২০১৮ সালের ১৩ আগস্টের পরই আইনের সকল বাঁধা পেরিয়ে পুরোপুরি মুক্ত হবেন তিনি। খেলতে পারবেন জাতীয় দল কিংবা বিপিএলের মতো হাইপ্রোফাইল আসরে।
এদিকে, ব্রিটিশ আইনজীবী ইয়াসিন প্যাটেল পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পারবেন আশরাফুল। কিন্তু তিনি বিপিএল বা জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারবেন না।’