নিজস্ব প্রতিনিধি : কুমিল্লায় শনিবার রাতে একটি দেশী অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব।
সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযানে নিহত ও আটক হওয়া জঙ্গিদের কাছেও বিদেশী অস্ত্রের পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে। এসব দেশীয় অস্ত্র আসলে কতটা ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশে?
নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “প্রায়ই দেখা যায় এসব অভিযানে কিছু দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার হয়। এই অস্ত্রগুলোর কিছু দেশে তৈরি হয় আর কিছু বর্ডার দিয়ে আসে”।
“এসব অস্ত্র স্থানীয় সন্ত্রাসীরা বিশেষ করে ডাকাতরা ব্যবহার করে এবং গুপ্তহত্যার ঘটনায় এসব দেশীয় ছোট ছোট অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়” বলে উল্লেখ করেন সাখাওয়াত হোসেন।
সাখাওয়াত হোসেন জানান, এসব অস্ত্র যে শুধু দেশেই ব্যবহার হচ্ছে তা নয়, সীমান্ত এলাকাগুলোতেও এর ব্যবহার আছে।
“স্থানীয়ভাবে এসব অস্ত্র বানাতে বেশি কিছু লাগে না। সীমান্ত এলাকাগুলোতেও এসব অস্ত্রের কারবার আছে। এসব অস্ত্র হয় ওখান থেকে আসে নয়তো এখান থেকে যায়। মাদকের চোরাচালানকারীর সাথে এর একটা বড় সম্পর্ক আছে। তাদের চেইনের মাধ্যমে এসব অস্ত্র এক হাত থেকে আরেক হাতে যায়। কিছু করিডোর তারা তৈরি করে ফেলেছে যেখানে তারা মাদকের সাথে হাতে হাতেই এসব অস্ত্র নিয়ে যেতে পারে”-বলেন নিরাপত্তা বিশ্লষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।
দেশীয় অস্ত্র বলতে কী বুঝানো হচ্ছে?
হাতে ব্যবহারযোগ্য ছোট ছোট বন্দুকগুলোকে মূলত দেশীয় অস্ত্র বলা হয় বলে জানান এম সাখাওয়াত হোসেন ।
সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন “বন্দুকের ক্যালিবারগুলো দেশে তৈরি করে, যেমন নাইন এম এম এর ক্যালিবার অথবা সেভেন পয়েন্ট সিক্স এর ক্যালিবার। অনেক সময় ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে তৈরি করে যেন বুলেট সহজে পাওয়া যায়”।
তবে দেশে তৈরি বন্দুকগুলো দীর্ঘদিন টেকে না এবং এগুলোর রেঞ্জও খুব বেশি নয় বলে জানান তিনি।
সূত্র: বিবিসি