আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে গত ১৫ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সন্দেহভাজন ১১ সেনাকে আটক করা হয়েছে। অভুত্থানের চেষ্টার সময় ওই সেনারা প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ানকে অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছিল। সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এ খবর জানিয়েছে। সোমবার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থাটি জানায়, তুর্কি বিশেষ বাহিনী রোববার মুগলা প্রদেশের উলা জেলায় অভিযান চালিয়ে ওই ১১ সেনাকে আটক করেছে। ওই সামরিক অভিযানে ড্রোন ও হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হয়েছিল। বিদ্রোহীরা সহজে ধরা দিতে চায়নি। তারা অভিযানে অংশগ্রহণকারী সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিও চালিয়েছিল। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। গত ১৫ জুলাই রাতে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে অপহরণের লক্ষ্যে তার হোটেলে হামলা চালিয়েছিল অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া মোট ৩৭ সেনা। এদের মধ্যে রোববারে আটক ওই ১১ সেনাও ছিল। এরদোয়ান তখন দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় মারমারিস অবকাশযাপন কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন। সেনা আগমনের খবর পেয়ে তিনি আগেই সেখান থেকে সরে পড়েন। ফলে বিদ্রোহীরা তাকে ধরতে পারেনি। এরদোয়ানকে আটক করতে না পারার কারণেই সেদিনের অভ্যুত্থানটি ব্যর্থ হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। এরদোয়ান গ্রেপ্তার অভিযানে অংশ নেয়া ২৫ জনকে আগেই আটক করা হয়েছে। রোববার আটক করা হল বাকি ১১ জনকে। ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে প্রায় ১৪শ সেনা সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে সোমবার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৬৯৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে আরো ১০ হাজার ১৩৭ জনকে। ওই অভ্যুত্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাচনে থাকা ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেলকে দায়ী করছে তুর্কি সরকার। তবে গুলেন ওই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন।