নিজস্ব প্রতিবেদক: সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর আদর্শ গ্রামে (গুচ্ছগ্রাম) ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সম্পাকে (২৩) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী সাঈদ বাদশা (২৬) কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে অভিযুক্ত স্বামীর নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সাঈদ বাদশার মা ছাহেরা বেগম (৬৫) ও ছোট ভাই আবু বকরকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৪ বছর আগে ফোর্ডনগর আদর্শ গ্রামের মৃত নুরু শেখের পুত্র সাঈদ বাদশা জয়মন্টপ ইউনিয়নের নীলটেক গ্রামের সংখ্যালঘু নিরঞ্জন হালদারের মেয়ে সম্পাকে প্রেমে ফেলে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সম্পা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সংসার করতে থাকেন। এদিকে স্বামী সাঈদ বাদশা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সাঈদ বাদশা স্ত্রী সম্পাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অভিযুক্ত সাঈদ বাদশার ছোট ভাই আবু বকরের স্ত্রী রেখা (২০) জানান, গত সোমবার রাতে সবাই একত্রে খাওয়া শেষে যার যার ঘরে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ৪টার দিকে আমার ভাসুর ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে চিৎকার করে বলে আমি আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছি, নিজেও বিষপান করেছি। একথা শুনে আমি চিৎকার করলে লোকজন এসে তাদের শয়নকক্ষে সম্পার লাশ দেখতে পায়। আমার স্বামী ভাসুরকে লোকজনের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার সানোয়ার বেপারী বলেন, হত্যার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দেখতে পাই। ওই এলাকার বাসিন্দা মুকুল (২৮) বলেন, সাঈদ বাদশা ইয়াবা সেবনসহ মাদকাসক্ত ছিল। ধল্লা খানপাড়ার জনৈক ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে সখ্য রেখে তা সেবন করতো এবং নিয়মিত জুয়া খেলতো। এ কারণে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। নিজের আত্মহত্যার চেষ্টা নাটক বলে মুকুল দাবি করেন।
এ ঘটনায় নিহত সম্পার মা বানু হালদার বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে সিংগাইর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।