ক্রীড়া ডেস্ক :
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের লড়াই ২-২ গোলে অমীমাংসিত থাকে। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা। শেষ পর্যন্ত দানিয়েল কারবাহালের ১১৯তম মিনিটের গোলে জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ।
শেষ মুহূর্তের গোলে কপাল পুড়ে সেভিয়ার। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বছরের মত ফাইনালে উঠে শিরোপা হাতছাড়া হল তাদের। ২০০৬ সালে শেষবার সুপার কাপের শিরোপা জিতেছিল সেভিয়া। পরের বছর ফাইনালে উঠেও শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি। এরপর ২০১৪, ২০১৫ এবং চলতি বছর ফাইনালে উঠে রানারআপ ট্রফি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল সেভিয়াকে।
অন্যদিকে তৃতীয়বারের মত এ শিরোপা জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। এর আগে ২০১৪ ও ২০০২ সালে সুপার কাপ জিতে নিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
১-১ গোলে সমতা নিয়ে দুই দল প্রথমার্ধের বিরতিতে যায়। শুরুতে (২১ মিনিটে) মার্কো আসেনসিওর গোলে রিয়াল লিড নেয়। ২০ মিনিট পর সেভিয়াকে সমতায় ফেরান ফ্রাঙ্কো ভাসকেস। বিরতি থেকে ফিরে ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন ইয়েভেন কোনোপ্লিয়াঙ্কা। লিড নিয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকে সেভিয়া। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের লড়াইয়েও তারা ২-১ গোলে এগিয়ে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে যাদু দেখান রিয়ালের অধিনায়ক সার্জিও রামোস। ৯০+৩ মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান স্পেনের এ ডিফেন্ডার। তাতেই রক্ষা রিয়ালের। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জিনেদিন জিদানের শিষ্যদের। দলের বড় তারকাদের অনুপস্থিতির পরও শিরোপা জিতে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ।