নিজস্ব প্রতিবেদক :
বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মাহবুবে আলম ও এএফ এম মেসবাহ উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাসুদ রেজা সোবহান।
এসব বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষকে ২১ আগস্টের মধ্যে এর ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আপিল বিভাগ।
ওই ১৫৩ শিক্ষার্থীকে প্রথম পর্বের পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দেওয়ার আদেশও আদালত স্থগিত করে দিয়েছেন।
দশ প্রতিষ্ঠান হল- শমরিতা মেডিক্যাল কলেজ, সিটি মেডিক্যাল কলেজ, নাইটিঙ্গেল মেডিক্যাল কলেজ, জয়নুল হক শিকদার মেডিক্যাল কলেজ, এ আর মেডিক্যাল কলেজ, ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ, তাইরুন নেছা মেডিক্যাল কলেজ, আইচি মেডিক্যাল কলেজ, কেয়ার মেডিক্যাল কলেজ ও আশিয়ান মেডিক্যাল কলেজ।
আইনজীবীরা জানান, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ২০০ এর মধ্যে ১২০ নম্বর পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করা যাবে এবং লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বর পেতে হবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও একই সিদ্ধান্ত দিয়েছিল।
তবে ওই শর্ত পূরণ না হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দশ বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া ১৫৩ শিক্ষার্থীর প্রথম পর্বের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র আটকে দেন।
এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ১৫৩ জন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ১৩ জুন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।
হাইকোর্ট রিট আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দিতে বলে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিভ টু আপিল করেন।
বুধবার লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে ১৫৩ শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দিতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিল, তা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। লিভ টু আপিল ২১ আগস্ট আবার শুনানির জন্য আসবে।