আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গত মার্চ মাসে মেদিনীপুরের কাঁথির পুরুষোত্তমপুর গ্রাম থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গলার নলি কাটা, শরীরে ছিল অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় ভোজালি ও একটি মোবাইল ফোন।
সেই থেকে কাঁথি হাসপাতালের মর্গে পরেছিল দেহ। ৩ মাস পর জুন মাসে মর্গে গিয়ে যুবককে ছেলে বলে দাবি করে মেদিনীপুরেরই বাসিন্দা অশোক দ্বিবেদী। জানায়, নিহত যুবকের নাম অনিমেষ। কিন্তু বাবার কথায় ধরা পড়ে বেশ কিছু অসঙ্গতি। বার বার বলা সত্ত্বেও তিনি কোনও অভিযোগ দায়ের করতে চাননি।
তাতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। বাবার ওপর নজর রাখার পাশাপাশি ঘটনাস্থলে গিয়ে ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এলাকার লোকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, অনিমেষকে দুই ব্যক্তির সঙ্গে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। এরপর ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার মুখে ওই দু জন যে তথ্য দেয় তাতে চোখ কপালে ওঠে পুলিশের ।
দু জন জানায়, ছেলেকে খুন করার জন্য তাদেরকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার রুপি দেন বাবা অশোক দ্বিবেদী। সেইমতো, খুনের পরিকল্পনা করে ছেলেকে কাঁথির আত্মীয় বাড়িতে পাঠিয়ে দেন বাবা। সেখানেই খুন করা হয় অনিমেষকে।
গত সোমবার (৮ আগস্ট) মেদিনীপুরের বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে অনিমেষের বাবাকে। পুলিশি জেরায় বাবা অশোক দ্বিবেদী জানান, ছেলের উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে অতিষ্ঠ ছিলেন তিনি। বার বার বলেও শোধরাতে পারছিলেন না। তাই কিলার ভাড়া করে ছেলেকে খুন করিয়েছেন তিনি। বাবাকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।