আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন হাইপারসোনিক বিমান তৈরি করছে। এতে খুবই কম খরচে পাইলট এমনকি সাধারণ যাত্রীদেরও মহাকাশের প্রাপ্ত সীমায় অর্থাৎ পৃথিবীর নিম্নকক্ষে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় বিমান নির্মাণকারী একটি সংস্থা হাইপারসোনিক বা মহাকাশ বিমান তৈরির গবেষণা শুরু করেছে। চীনের এ বিমান বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড়তে পারবে। পাশাপাশি আরোহী নিয়ে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ পর্যন্ত যেতে পারবে।
নাসার মহাকাশ খেয়ার সঙ্গে এ বিমানের মিল থাকবে। তবে এটি মহাকাশ খেয়ার চেয়েও আরো উন্নত মানের হবে। নতুন এ মহাকাশ বিমান তৈরি করছে চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কর্পোরেশন বা সিএএসটিসি।
এ বিমান চালু হওয়ার পর মহাকাশ ভ্রমণের খরচ অকল্পনীয় ভাবে কমবে। একই সঙ্গে মহাকাশ বিজয়ের দৌড়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে চীন।
বিজ্ঞান সাময়িকী পপুলার সায়েন্স বলছে, জেট ইঞ্জিনের শক্তিতে চীনা এ বিমান সাগরপৃষ্ট থেকে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠতে পারবে। এরপরই রকেটে এ বিমানকে বাড়তি শক্তির যোগান দিবে। এতে পৃথিবীর আবহ মণ্ডলের নিচু স্তর অতিক্রম করতে পারবে চীনা বিমান।
২০৩০ সালের মধ্যে এ বিমান চালু করা পরিকল্পনা করেছে চীন। চীনের রাষ্ট্রীয় চ্যানেল সিসিটিভি’তে এ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে, চলতি বছরের গোড়ায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, নতুন হাইপারসোনিক বিমানের পরীক্ষা করেছে চীন। এমন বিমানের গতি হবে ঘণ্টায় ৭০০০ মাইল।
ঘণ্টায় চার হাজার মাইল গতিতে উড়তে পারে মহাকাশ বিমানের এমন ইঞ্জিন নিয়ে পরীক্ষা করছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। এ ছাড়া, এ জাতীয় গবেষণা জোরে শোরে করছে রাশিয়াও। বিশ্বের যে কোনো প্রাপ্তে দু’ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়ার উপযোগী হাইপারসোনিক বিমান বানানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া।