নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা দুই হাজার ১৮১টি স্থাপনা সরাতে তিন মাস সময় বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপিত কাশেফা হোসেনের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসককে রায় পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের স্থাপনা সরাতে ৯০ দিন সময় দিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ছাপাতে বলা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের রিট আবেদনে সাড়া দিয়ে ২০১০ সালের ১৮ জুলাই রুলসহ আদেশ দেয় আদালত। আদেশে জেলা প্রশাসককে ওই এলাকা জরিপ করে অবৈধ স্থাপনার তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই রুলের শুনানি শেষেই মঙ্গলবার এই আদেশ দিয়ে আদালত বলেছে, বিষয়টি চলমান পর্যবেক্ষণে থাকবে।
আদালতের রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম জহিরুল হক।
পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, “ওই তালিকায় ২ হাজার ১৮৭টি স্থাপনার নাম আছে। এর মধ্যে নৌ-বাহিনী ও বন্দর কর্তৃপক্ষের ছয়টি স্থাপনা রয়েছে।
“এই স্থাপনাগুলো আপাতত অপসারণের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। তাদেরকে পরিবশে অধিপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হলে তা বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।”
জরিপ প্রতিবেদন অনুসারে, এসব স্থাপনা তিন মাসের মধ্যে অপসারণ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ কাজে জেলা প্রশাসক, পুলিশসহ বিবাদীদের সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।