আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সিরীয় সরকারের যুদ্ধবিমান শনিবার ভোরে ফের হাসাকেহ নগরীর আকাশে উড়েছে। ওই এলাকায় কর্মরত মার্কিন সামরিক উপদেষ্টাদের ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে এমন যেকোনো ধরনের নতুন হামলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবাণী সত্ত্বেও সিরীয় বিমান সেখানে উড়েছে। নগরীর বেশিরভাগ এলাকা কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, বিমান থেকে কোন হামলা করা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। বিমানগুলো সারারাত আকাশে চক্কর দেয়। তবে স্থলে ভারী গোলা বিনিময় হয়েছে।
গত বুধবার সরকারপন্থী মিলিশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এর পরদিন সিরিয়ার সরকারি বাহিনী প্রথমবারের মতো কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায়।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাসাকেহ নগরীতে কুর্দি বাহিনীর ছয়টি অবস্থান লক্ষ্য করে নজিরবিহীন বিমান হামলা চালায় সিরীয় বাহিনী। এরপর মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট কুর্দি বাহিনীর সঙ্গে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপদেষ্টাদের রক্ষা করতে জঙ্গি বিমান পাঠায়। এই প্রথমবারের মত জোট সিরীয় বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিমান মোতায়েনের খবর নিশ্চিত করলো।
পেন্টাগন মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস বলেন, জোটের উপদেষ্টাদের রক্ষার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো এবং তারা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে এমন কর্মকান্ড না করতে সিরীয় সরকারকে পরামর্শ দেব।’
মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, নগরীতে বুধবার থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নয় শিশুসহ ২৩ বেসামরিক নাগরিক ও ১৬ যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
সংস্থার প্রধান রামি আব্দেল রহমান বলেন, নগরীতে গতরাতে ব্যাপক সংঘর্ষ, কামানের গোলা নিক্ষেপ ও রকেট হামলা হয়েছে এবং সকালেও তা অব্যাহত ছিল।
হাসাকেহ নগরীর বেশিরভাগ কুর্দি বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে। বাকি অংশ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত যোদ্ধাদের দখলে রয়েছে।
পেন্টাগন মুখপাত্র ডেভিস বলেন, বৃহস্পতিবার সিরিয়ার বিমান হামলায় জোটের কেউ আহত হয়নি এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপদেষ্টারা নিরাপদ স্থানে চলে যান।
তিনি বলেন, জোটের বিমান এখন ওই এলাকায় বাড়তি টহল দিচ্ছে।
সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, কুর্দি বাহিনী হাসাকেহ ঘিরে রেখেছে এবং গোলার আঘাতে বেসামরিক ও সামরিক প্রাণহানি হচ্ছে। আর এসব অপরাধের জন্য দায়ীদের অবস্থান ও গুলির উৎস লক্ষ্য করে সিরীয় বাহিনী সঠিক জবাব দিচ্ছে।