আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
কাশ্মিরে চলমান অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আরও এক প্রতিবাদী যুবক নিহত হয়েছে। শাকিল আহমেদ গণি (১৯) নামে নিহত ওই যুবক স্নাতক শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। এ নিয়ে গত ৪৯ দিনে সেখানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০-এ পৌঁছল।
নিহত শাকিল দক্ষিণ কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলার রাজপুরার চন্ডিপুরা গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্র মারা যান। পুলওয়ামা জেলা হাসপাতাল সূত্রে প্রকাশ, বুলেট বিদ্ধ হয়ে শাকিল আহমেদের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার জুমা নামাজ শেষে প্রতিবাদী জনতা হাল, নিকাস এবং আরাগামে বিক্ষোভ শুরু করলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় কমপক্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধ এবং ১৭ জন কাঁদানে গ্যাসের সেল ও পেলেট গানের ছররা গুলিতে আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে প্রকাশ, শাকিলের নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজপুরা এবং পুলওয়ামাতে মানুষজন সড়কে নেমে এসে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে। এখানে পুরুষের পাশাপাশি নারী এবং শিশুরাও প্রতিবাদে শামিল হয়ে ভারত বিরোধী এবং আজাদির পক্ষে স্লোগান দেয়।
ত্রালের নূরপুরা গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় কমপক্ষে ১২ জন পেলেটগানের ছররা গুলিতে আহত হয়। এখানে গ্রামবাসীরা সেনা-পুলিশ এবং স্পেশাল অপারেশন্স গ্রুপের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ফেলে। দক্ষিণ কাশ্মিরে কমপক্ষে ৫০ প্রতিবাদকারী আহত হয়।
শুক্রবার কাশ্মিরি নেতাদের পক্ষ থেকে ‘ঈদগাহ চলো’ কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়। কারফিউ অমান্য করে হুররিয়াত কনফারেন্স প্রধান সাইয়্যেদ আলী শাহ গিলানি এবং মীরওয়াইজ ওমর ফারুক শ্রীনগরের ঈদগাহে দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
এদিকে, প্রশাসনিক অনুমতি না থাকায় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোরতায় শ্রীনগরের ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদে শুক্রবার জুমা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। এ নিয়ে সেখানে পরপর ৭ জুমা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। কাশ্মিরি নেতাদের পক্ষ থেকে চলমান বনধ কর্মসূচির মেয়াদ বাড়িয়ে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৬ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭ দিন ধরে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।