স্পোর্টস ডেস্ক :
ম্যাচ পাতানোর আংশিক দায়মুক্ত এ নন্দিত-নিন্দিত ক্রিকেটার কি সত্যিই ভাগ্যের আনুকূল্য পেতে যাচ্ছেন? অবস্থাদৃষ্টে কিন্তু তা-ই মনে হচ্ছে। সব প্রেক্ষাপট তার অনুকূলে চলে যাচ্ছে। আফগানিস্তানের সাথে ওয়ানডে সিরিজের সময় পড়ে যাওয়ায় সম্ভবত বিসিএল এখন হচ্ছে না। তার বদলে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে, না হয় অক্টোবরে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে জাতীয় লিগ (এনসিএল)। যে আসরে অংশ নেয়ায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই মোহাম্মদ আশরাফুলের।
আর তাই তার সহসা মাঠে ফেরা নিয়ে যে সংশয় জেগেছিল, তার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আশরাফুল জাতীয় লিগ দিয়েই মাঠে ফিরতে যাচ্ছেন। হয়তো এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই আসবে সে শুভক্ষণ। আবার মাঠে নামার সুযোগ পেতে পারেন টেস্ট ক্রিকেটের অভিষেকে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান।
সবার জানা, পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা মুক্ত না হওয়ায় আশরাফুলের বিপিএল খেলার ওপর এখনো নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে। সামনের দিনগুলোয় আইসিসি তার ওপর সদয় হলে ভিন্ন কথা। না হয় আগামী নভেম্বরে বিপিএলের যে চতুর্থ আসর শুরুর কথা, তাতে আশরাফুলের খেলার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়।
ওদিকে নিয়মের গ্যাড়াকলে পড়ে বিসিএল খেলার পথও বন্ধ। সেক্ষেত্রে জাতীয় লিগ(এনসিএল ) ও ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটই(প্রিমিয়ার লিগ) ছিল ভরসা। ঐ দুই আসর শুরুর দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত নয়। কিন্তু কি আর করার? আশরাফুল বাধ্য হয়েই ঐ দুই আসরের প্রহর গুনছিলেন। আর মনে মনে স্বপ্নের জাল বুনছিলেন, নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্বাচকরা যদি তার প্রতি সদয় হয়ে একবার বিসিএলে সুযোগ দিতেন, তাহলে হয়তো আংশিক মুক্তির ৫ সপ্তাহের মধ্যে মাঠে নামা যেত।
সে লক্ষ্যেই ১৩ আগস্ট আংশিক নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হওয়ার কদিন পর থেকে প্রতিদিন রুটিন করে হোম অফ ক্রিকেটে ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি নেটে ব্যাটিং প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছেন আশরাফুল। মঙ্গলবার দুপুরেও প্রচার মাধ্যমের সাথে আলাপে সেই স্বপ্নের কথাই মুখ ফসকে বেড়িয়ে এসেছে , ‘নির্বাচকরা যদি আমাকে একবার বিসিএল খেলার সুযোগ দেন। সেই আশায় গ্রহর গুনছি। তাই ফিটনেস লেভেল ঠিক রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করছি। এইচপির ট্রেনার কোরের কাছে আজ একটা ফিটনেস টেস্ট দিয়েছি। তিনি ভালোই বলেছেন। তাকে একটা ট্রেনিং সিডিউল করার অনুরোধও জানিয়েছি। পাশাপাশি স্কিল ট্রেনিংটা করে যাচ্ছি জোরোশোরে।’
ভাগ্য হয়তো তার পক্ষে। তাই যদি না হবে, তাহলে বলা নেই কওয়া নেই, হুট করে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হবে কেন? আর যাদের প্রস্তুতির জন্য বিসিএল আয়োজনের চিন্তা ছিল, তারা যখন আফাগানদের সাথে ওয়ানডে খেলবেন, তখন আর বিসিএল করে কী লাভ? এ চিন্তায় বিসিএল যাচ্ছে পিছিয়ে।
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানের কথা, ‘এখন আর বিসিএল আয়োজন করে লাভ নেই। তাই আগামী মাসের শেষ দিকে জাতীয় লিগ আয়োজনের কথা ভাবছি আমরা।’ যেহেতু ঐ আসর খেলার ওপর আইসিসির নিষেধাজ্ঞা নেই। জাতীয় লিগে ভালো করা ছাড়া বিসিএলে অংশ নেয়া যাবে না, এমন কোনো নির্দিষ্ট প্রক্রিয়াও নেই।
তাই বলেই দেয়া যায়, জাতীয় লিগ হওয়া মানেই আবার আশরাফুলের মাঠে ফেরা।