স্পোর্টস ডেস্ক :
জাতীয় শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের পুরুষ বিভাগে অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই স্বর্ণ জিতেছেন আব্দুল্লাহ হেল বাকী।
ফাইনালের স্বর্ণপদক নির্ধারণী দুই শটের প্রথম শট শেষে বাকী ও মাহমুদুল হাসানের সংগ্রহটা ছিল সমান ১৯২। শেষ শটটাই ছিল নির্ধারক। সেখানে ১০.৫ স্কোর করেন বাকী, আর মাহমুদুলকে রৌপ্য নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ৯.২ স্কোর করে। এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন ঢাকা রাইফেলস ক্লাবের শোভন চৌধুরী।
ফাইনালের নাটকীয়তার আগেই মঞ্চস্থ হয় পদক নির্ধারণী তিনটি স্থান দখলের নাটক। শেষ তিনে থাকার লড়াইয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন মাহমুদুল (১৬২) আগেই। আর বাকী, শোভন ও অঞ্জন কুমার সিংহের ছিল সমান ১৬১.৮। টাইব্রেকারে অঞ্জনকে পেছনে ফেলে পদকের লড়াইয়ে মাহমুদুলের পাশে নাম লেখান বাকী ও শোভন।
টানা পাঁচবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ জিতলেন কমনওয়েলথ গেমসে রৌপ্য জয়ী এই শুটার। গতকাল নিজের স্থান ধরে রেখে বাকী বলেন, টানা কতবার চ্যাম্পিয়ন হলাম, সেটা আমার কাছে মোটেই গুরুত্বপূর্ণ না, আমি সবসময় পারফরমেন্সটাতেই ফোকাস করি। একটা কারণে আমি এবার সন্তুষ্ট, সেটা হলো এতদিন ন্যাশনালে বেস্ট স্কোর ছিল ৫৯৫। সেটি ছিল আসিফ ভাইয়ের। সেটা গত ন্যাশনালে ছুয়েছিলাম। আজকে ৫৯৬ করে ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এটাই আমার সন্তুষ্টি।
এদিকে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের জুনিয়র ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছেন বিকেএসপির রবিউল ইসলাম। এই ইভেন্টে নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের রিসাতুল ইসলাম রৌপ্য ও নৌবাহিনীর রাব্বি হাসান মুন্না ব্রোঞ্জ জেতেন। ৫০ মিটার পিস্তলে আর্মি শুটিং এসোসিয়েশনের শাকিল আহাম্মেদ স্বর্ণ একই সংস্থার রায়হানুল ইসলাম রৌপ্য ও ঢাকা রাইফেল ক্লাবের নাদিমুল ইসলাম ব্রোঞ্জ জেতেন।
জুনিয়র বিভাগে আর্মি শুটিং এসোসিয়েশন আনোয়ার হোসেন স্বর্ণ, ফিরোজ হাওলাদার রৌপ্য ও সাব্বির আলামিন ব্রোঞ্জ জেতেন। স্বীট ইভেন্ট গুলশাট শুটিং ক্লাবের ইকবাল হোসেন স্বর্ণ, আর্মি শুটিং এসোসিয়েশনের এসএম সাব্বির রৌপ্য ও একই সংস্থার আহসান হাবিব ব্রোঞ্জ জেতেন।
এবারের জাতীয় শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ১১টি স্বর্ণ ১৩টি রৌপ্য ও ১১টি ব্রোঞ্জ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্মি শুটিং এসোসিয়েশন। ৪ স্বর্ণ ৪ রৌপ্য ও ১ ব্রোঞ্জ নিয়ে রানারআপ নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাব।