আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বৃটেনে বোরকা নিষিদ্ধের পক্ষে বেশির ভাগ মানুষ। ইউগভ-এর এক জরিপে এমন তথ্য মিলেছে।
এতে দেখা গেছে, শতকরা ৫৭ ভাগ বৃটিশ বোরকা নিষিদ্ধ করার পক্ষে। আর এর বিপক্ষে শতকরা মাত্র ২৫ ভাগ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়েছে, বোরকা নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে যে গ্রুপটি বেশি বিরোধিতা করেছে তাদের বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
তবে বোরকা নিষিদ্ধের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সমর্থন রয়েছে ৬৫ ঊর্ধ্ব গ্রুপের। তাদের মধ্যে শতকরা ৭৮ ভাগ বোরকা নিষিদ্ধের পক্ষে। আর শতকরা ১২ ভাগ এর বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে বড় প্রায় সব দলেই বোরকা নিষিদ্ধের পক্ষে ভোটার রয়েছে।
ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টির (ইউকিপ) নেতা লিসা ডাফি বোরকা নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। একই রকম আহ্বান ২০১০ সালে জানিয়েছিলেন নাইজেল ফারাজে। কিন্তু তার দল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ নিয়ে খুব কমই কথা বলেছে।
ফ্রান্সের সমুদ্র সৈকতে বুরকিনি নিষিদ্ধ নিয়ে যখন তীব্র বিতর্ক হচ্ছে, বিষয়টিতে জাতিসংঘও জড়িয়ে পড়েছে, তখন বৃটেনে বোরকা নিষিদ্ধ নিয়ে ওই জরিপ পরিচালিত হয়। ফ্রান্সে বুরকিনি নিষিদ্ধ নিয়ে গত সপ্তাহে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়।
তাতে দেখা যায়, ফরাসি সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা একজন নারীকে জোর করে কাপড় খুলতে বাধ্য করছেন। ওই নারীকে সৈকতে বুরকিনি পরা অবস্থায় দেখার পর এমন পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। উল্লেখ্য, ফ্রান্সের আদালত বুরকিনি নিষিদ্ধকে অবৈধ বলে আখ্যা দিয়েছে।
এরপরই আদালতের এ রায়ে সমর্থন জানিয়েছে জাতিসংঘ। ইউগভ এ বিষয়ে আলাদা একটি প্রশ্ন করেছিল। তাতে দেখা গেছে শতকরা ৪৬ ভাগ মানুষ বুরকিনি নিষিদ্ধকে সমর্থন করে। এর বিরোধিতা করে শতকরা ৩০ ভাগ।
উল্লেখ্য, ইসলামি বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত এন বেশ কিছু বিষয় নিষিদ্ধ করতে ইউরোপের কতগুলো দেশ আইন করেছে না হয় তা সীমাবদ্ধ করেছে। ২০১০ সালে পুরো মুখ ঢাকা বোরকা নিষিদ্ধ করা হয় ফ্রান্সে। আলাদাভাবে তারা হেডস্কার্ফও নিষিদ্ধ করে। এর স্বপক্ষে ধর্মনিরপেক্ষতাকে অজুহাত হিসেবে তুলে ধরা হয়। তবে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস বলেছেন, তিনি এ নিষেধাজ্ঞা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে চান। বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ডের কোন কোন অংশ ও রাশিয়ায় মুসলিম নারীদের এমন পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।