নিজস্ব প্রতিবেদক :
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর পরিবারের সদস্যরা কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছেন।
শনিবার বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে ছয়টি মাইক্রোবাসে ৪০ জনের বেশি পরিবারের সদস্য কারাগারে প্রবেশ করে বলে জানা গেছে।
কারা সূত্র আরো জানায়, এর মধ্যে ২৩ জন দেখা করার অনুমতি পেয়েছে। পর্যায়ক্রমে পরিবারের ৩৮ জন সদস্য মীর কাসেমের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন।
এদিকে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশটি কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছেছে।
শনিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আদেশটি কারাগারে পৌঁছে বলে কারা সূত্রে জানা গেছে।
কারা সূত্র জানায়, আদেশে ফাঁসি কার্যকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আইনি সব লড়াই চালিয়ে পরাজিত হওয়ার পর কাসেম আলীর সামনে খোলা ছিল কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগ।
তবে শুক্রবার তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন না তিনি। ফলে কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কারা কর্তৃপক্ষ চাইলে যেকোনো সময় তার ফাঁসি কার্যকর করতে পারে।
যেকোনো আসামির ফাঁসি কার্যকরের আগে তাকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ দেখা করতে দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এর আগে যুদ্ধাপরাধের অপরাধে দণ্ডিত বাকিরাও একই সুযোগ পেয়েছেন।
এদিকে মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকরে দুই দফা মহড়াও হয়ে গেছে কাশিমপুর কারাগারে।
রায় কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।