ক্রীড়া প্রতিবেদক :
১৪ সদস্যের প্রাথমিক দলে নতুন চার মুখ। তারা হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, কামরুল ইসলাম রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান ও সাব্বির রহমান রুম্মন।
১. সাব্বির রহমান রুম্মন : সাব্বির রহমানকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান বলা হয়। এতোদিন তিনি ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেটই খেলেছেন। এবার টেস্টে অভিষেকের অপেক্ষায় হার্ডহিটার এ ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে সাব্বিরের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান করেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এই ব্যাটসম্যানের ৩টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৮টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে।
২. কামরুল ইসলাম রাব্বি : কামরুল ইসলাম রাব্বি মূলত বোলার। এর আগে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি ৪৭ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। বল হাতে নিয়েছেন ১০৩ উইকেট। এক ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন একবার। ৪ উইকেট নিয়েছেন ৩ বার। ব্যাট হাতে ৪৭ ম্যাচে তার রান ৬৯০। ৩টি হাফ সেঞ্চুরি থাকলেও কোনো সেঞ্চুরি নেই।
৩. নুরুল হাসান সোহান : উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান এর আগে জাতীয় দলের হয়ে ৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ৫ ইনিংসে তার রান ৫৪। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩০। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৯ ম্যাচে তার রান ২ হাজার ৪২৫। ৫টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে ১৩টি হাফ সেঞ্চুরি।
৪. মেহেদী হাসান মিরাজ : বাংলাদেশ দলের পরবর্তী সাকিব ভাবা হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। এই অলরাউন্ডার বাংলাদেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন। এরপর স্কোয়াডে থাকলেও খেলা হয়নি ওয়ানডে ম্যাচ। এবার টেস্ট স্কোয়াডেও ডাক পেয়েছেন তিনি। লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেটে মিরাজ পরীক্ষিত সৈনিক। বল ও ব্যাট হাতে সমানভাবে অবদান রাখতে পারেন। ১২টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার রান ৫২৪ রান। ৫টি হাফ সেঞ্চুরি থাকলেও কোনো সেঞ্চুরি নেই। তার সর্বোচ্চ রান ৮০। ১২ ম্যাচে বল হাতে তিনি নিয়েছেন ৪১ উইকেট। ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেছেন ১ বার। ৫ উইকেট নিয়েছেন ৩ বার। আর ৪ উইকেট নিয়েছেন ১ বার।
এখন দেখার বিষয় এই নতুন চার মুখের কয়জন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামার সুযোগ পান।
প্রথম টেস্টের দল:
মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান রুম্মন, সৌম্য সরকার, তাইজুল ইসলাম, শুভাগত হোম চৌধুরী, শফিউল ইসলাম, কামরুল ইসলাম রাব্বী ও নুরুল হাসান সোহান।