নিজস্ব প্রতিবেদক : ১০ টাকার চাল বিতরণ কর্মসূচিকে কোনোভাবেই বিতর্কিত ও দলীয়করণ করা যাবে না।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘১০ টাকার চাল বিতরণ কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে সরকার কড়া নজরদারি রেখেছে। অনিয়মের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনিয়মে জড়িত থাকায় ২২ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা, ছয়জনকে গ্রেপ্তার, নয়জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও ৪৪ জনের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে।’
হতদরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর এ কর্মসূচি সফল করতে সংসদ সদস্যসহ নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
স্বচ্ছতার সঙ্গে কর্মসূচি সফল করার কথা জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। অনিয়ম দুর্নীতি ঠেকাতে ৬ অক্টোবর জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাতে ডিলার নিয়োগ এবং চাল বিতরণে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নিতে পারে। ৯ অক্টোবর থেকে আট বিভাগের জন্য আটটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত টিম প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ঘুরে কর্মসূচি তদারকি করছে। বিভাগীয় কমিশনারদেরও কর্মসূচি তদারকির জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে এই কর্মসূচির অনিয়ম তুলে ধরায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান কামরুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘আপনাদের কারণে অনিয়ম ধরা পড়ছে। সরকার জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারছে। চোখে আঙুল দিয়ে অনিয়ম দেখিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আপনারা অনিয়ম ধরিয়ে দিয়ে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন। অনিয়ম গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবেন যাতে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘কর্মসূচিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। অনিয়ম করে কার্ড নিলে অনিয়মকারীরা যে দলেরই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশের হতদরিদ্রদের সবাইকে চাল দিতে পারছি না। কিন্তু ৫০ হাজার হতদরিদ্র যেন এই চাল নিয়মমাফিক পায়। হতদরিদ্ররা কোন দলের তা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়।’
গত ৭ সেপ্টেম্বর হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।