আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি কী সত্যিই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল? না কি এর পিছনে রয়েছে অন্তর্ঘাত? ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা দুর্ঘটনার কথা বললেও সে দাবি এখনই মানছে না সিআইডি। এঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে হুগলি জেলা পুলিস।
ঠিক কী হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে ? বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি এটা দুর্ঘটনা। তবে কারোর বড় গাফিলতি রয়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু এখনই নিছক দুর্ঘটনা তত্ত্বে সিলমোহর দিতে নারাজ সিআইডি।
সিআইডির তরফে তদন্তে কোনও ফাঁক রাখা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে এঘটনায় খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে হুগলি পুলিস। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ তিনটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে, দুধের গাড়ির চালক ও রিকভারি ভ্যানের মালিককে। কেন ওভাবে পথের মাঝে গাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল সে নিয়ে তাঁদের প্রশ্ন করছেন গোয়েন্দারা। চলছে দফায় দফায় জেরা।
এছাড়াও অভিষেকের গাড়ি যে যে টোল প্লাজা পার হয়েছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়। অভিষেকের ড্রাইভার যে চায়ের দোকানে চা খেয়েছিলেন, সেখানেও খোঁজখবর নিয়েছে সিআইডি। ওই দোকানে ড্রাইভার কী কী খেয়েছিলেন সেবিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করেছে সিআইডি। নজরে রয়েছে অভিষেকের কনভয়ের পাইলট কারও। পাইলট কারের চালক ও অফিসারকে তলব করেছে সিআইডি। অভিষেকের গাড়ির চালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিআইডি অফিসারেরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে হাইওয়ে পেট্রোলিং-এ থাকা পুলিসের গাড়ির ভূমিকাও ।
অভিষেকের পাইলট কারের চালক ও অফিসারকে তলব করা হয়েছে। ঠিক কেন এই ঘটনা ঘটল সে রহস্যের সমাধান করাটাই এখন সিআইডির টার্গেট।