নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র মোতালেব হোসেন লিপুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নবাব আব্দুল লতিফ হলের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ডাইনিংয়ের পাশে নর্দমা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। কীভাবে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে, তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
মোতালেব হোসেন লিপু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের (দ্বিতীয় বর্ষ) শিক্ষার্থী। তিনি আব্দুল লতিফ হলের ২৫৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু থানার মুকিমপুর গ্রামে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে বলেন, ‘আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, ডাইনিংয়ের এক আয়া কাজ করতে গিয়ে লিপুর লাশ দেখতে পান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।’
এ বিষয়ে বিভাগের সহকারী শিক্ষক মো. শাতিল সিরাজ বলেন, ‘হলের ডাইনিয়ের পাশ থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার কক্ষ থেকে বেশ খানিকটা দূরেই ডাইনিং।
সেখানে কীভাবে লিপুর লাশ গেল, ভাববার বিষয়। তা ছাড়া লাশের গায়ে কাদা লাগানো, মাথার কাছে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। শরীরে পর্যাপ্ত কাপড়-চোপড়ও ছিল না। এসব কারণে লিপুর মৃত্যু আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে। পুলিশ হয়তো সেটা করবে।’
লিপুর রুমমেট মনিরুল ইসলাম জানান, ‘লিপু প্রতিদিন ভোরে হাঁটতে যেত। গতকাল গভীর রাতে ঘুমের মধ্যে কবার দরজা খোলার শব্দ পাই। লিপু হাঁটতে গিয়েছে ভেবে আবার ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরে সে ফেরেনি দেখে ভেবেছিলাম পরে আসবে। আজ সকালে প্র্যাকটিকাল ক্লাস করার সময় লিপুর মারা যাওয়ার খবর পাই।’
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) অশোক চোহান জানান, এই আত্মহত্যা নাকি হত্যা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।