নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের দরিদ্র ও গৃহহীন মানুষের তালিকা করতে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সব জনপ্রতিনিধিকে আহ্বান জানিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি জানান, দরিদ্রদের তালিকা করে পাঠান, ঘর করে দেবো। দেশে দরিদ্র বলে কিছু থাকবে না। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। এ সময় ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দলের নেতা-কর্মীদের সক্রিয়ভাবে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। দারিদ্র্যতার হার ইতোমধ্যে ২২ দশমিক ৪ ভাগে নামিয়েছি। এই হার শূন্যের কোটায় নামাবো। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে, পুষ্টির অভাব দূর হবে। দারিদ্র্য বলে এদেশে কিছু থাকবে না। আমরা শিক্ষার হার বাড়াবো।
তিনি বলেন, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নতি করবো। তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জাতি গঠন করবো। কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের কোনো বৈষম্য থাকবে না। ঘরে-ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে। প্রতি ঘরে আলো জ্বলবে। কর্মসংস্থানের জন্য সুনির্দিষ্ট অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।
দলীয় সভাপতি বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর দেশে সামরিকতন্ত্র শুরু হয়। এমন সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। যত অর্জন হয়েছে, সব আওয়ামী লীগ করেছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দাবি আদায় করেছে।
তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে চাই। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। বাংলাদেশ হবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন, তাই আঞ্চলিক যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ আরো আধুনিকায়ন করা হবে। তৈরি করা হবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান বাংলাদেশে হবে না। এজন্য আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কেউ অন্য দেশে সন্ত্রাসবাদ চালাতে পারবে না। আজকের বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছি। তাই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।