নিজস্ব প্রতিবেদক : জীবিত থাকতেই নতুন নেতৃত্বের হাতে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব তুলে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ৩৫ বছর দায়িত্ব পালন করে আসছি। দলকে যে সময় দিয়েছি, আমার ছেলে-মেয়েদেরও সে সময় দিতে পারিনি। আমার বয়স এখন সত্তরের উপরে। এখন নতুন নেতৃত্বের কাছে দায়িত্ব অর্পন করতে চাই।
রোববার আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে কাউন্সিল অধিবেশনে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন রমনার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে চলছে রুদ্ধদ্বার এ কাউন্সিল অধিবেশন।
সারা দেশের কাউন্সিলররা এ সময় সমস্বরে ‘না’, ‘না’ বলে তার এ বক্তব্যের বিরোধিতা করেন এবং শেখ হাসিনাকেই মূল নেতৃত্বে থাকতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পক্ষেও ‘জয়’, ‘জয়’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
আওয়ামী লীগকে আরো একবার ক্ষমতায় আনতে হবে প্রধানমন্ত্রী কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে আরো একবার ক্ষমতায় আনতে হবে। এখানে বসে থাকলে হবে না। কাজ করতে হবে। মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হবে। গত সাত বছরে আওয়ামী লীগ যে কাজ করেছে, তার সুফল জনগণ পাবে আবারও ক্ষমতায় এলে। বিএনপির লুটেরারা এলে সেটা হবে না।
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে কেউ দুর্নীতির অভিযোগ করতে পারেনি। সজীব ওয়াজেদ জয়, পুতুল, রিদওয়ান মুজিব সিদ্দিক- তারা জাতি গঠনে কাজ করছেন।’
আওয়ামী লীগের আজকের শক্তিশালী অবস্থানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আজকের যে অবস্থানে এসেছে, তাতে কেউ আওয়ামী লীগকে অবহেলা করতে পারবে না। গতকাল (শনিবার) বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অতিথিরা, যারা সম্মেলনে এসেছেন, তারা বক্তব্য দিয়ে গেছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগের প্রশংসা করে গেছেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে গেছেন। জিয়াউর রহমানের সময় জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ছিল। সে সময় শুধু আওয়ামী লীগ জয় বাংলা স্লোগান দিতো। আজকে সেই স্লোগান আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।’
সকাল ৯টা ৩৮ মিনিটে শুরু হওয়া কাউন্সিল অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন ইউনিটের ৬ হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর।
শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর বক্তব্য দিচ্ছেন বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নেতারা। তাদের বক্তব্য শেষ হলে দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রের সংশোধনী অনুমোদনের পর নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে কার্যনির্বাহী সংসদের নতুন কমিটি নির্বাচন করা হবে।