নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদ থেকে কাউকে বাদ দেয়া হয়নি, বরং স্বাভাবিক নিয়মেই দায়িত্বে পরিবর্তন এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ (বুধবার) সকালে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্পাদকমণ্ডলীর প্রথম বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার সম্পাদকমণ্ডলীর একাংশ ঘোষণার পর এটি ছিল প্রথম বৈঠক। ওবায়দুল কাদের বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমের খবরে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বিভিন্ন জনকে বাদ দেয়ার কথা, সরিয়ে দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। তবে বিষয়টি আসলে এমন না, বরং স্বাভাবিক নিয়মেই বিভিন্ন দায়িত্বে পরিবর্তন এসেছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কমিটিতে অন্তর্ভূক্তি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “সজীব ওয়াজেদ জয়কে ঘিরে তাদের স্বপ্ন আছে। আশা আছে। তিনি দলের ভবিষ্যৎ নেতা। সময়মতো তিনি দলের কমিটিতে আসতে পারবেন। তবে এ ব্যাপারে তার আগ্রহেরও একটি বিষয় আছে। তাকে জোর করে পদ দেওয়া যায় না। ভবিষ্যতে তিনি সম্মত হলে তাকে পদ দেয়া হবে।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা জয়কে দলীয় পদে থাকার বিষয়ে বলেছিলেন। কিন্তু তার কথা, তিনি দেশের বাইরে থাকেন। দেশে থাকলে হয়তো পদে থাকতে পারতেন।
আওয়ামী লীগে উপকমিটি গঠনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি দলের গঠনতন্ত্রে কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদকের পদ সর্বোচ্চ একশটি করার যে বিধান রয়েছে, আমরা তার বাইরে যাব না। এই কমিটির সদস্য সংখ্যা একশর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আগামী ৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) জেল হত্যা ও জাতীয় চারনেতা হত্যা দিবস পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-সকাল ৭টায় ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্মরণ সভা, সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া, মিলাদ ও মাহফিল, রাজশহীতে আবু হেনা মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে। একই বছরের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ এই চার সহকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। প্রতিবছর এ দিনটি জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।