নিজস্ব প্রতিবেদক :
এটি আগামী শুক্র কিংবা শনিবার নাগাদ ভারতের ওডিশা ও অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সে ক্ষেত্রেও এটি দুর্বল অবস্থায় আঘাত হানবে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, ‘সোমবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি শুরুতে পানির উষ্ণতা থেকে শক্তি সঞ্চয় করে মিয়ানমারের দিকে এগোলেও সোমবার তা উল্টো ঘুরে উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারতের বিশাখাপট্টনাম উপকূলের দিকে এগোতে শুরু করে। এখনো তার গতিপথ ওদিকেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু নিম্নচাপটি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এবং ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে এই অঞ্চলের কিছুটা কাছাকাছি অবস্থান করছে, তাই দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে হবে।’
২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেতের মানে হলো- দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। বন্দরে এ ঝড়ের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আপাতত না থাকলেও সাগরে থাকা জাহাজ ঝড়ের কবলে পড়তে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কায়ান্টের কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।