নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে না পারলেও ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে এখনো চূড়ান্ত হয়নি নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ও আচরণ বিধি।
এ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছি কি-না জানতে চাইলে ইসির উপ-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান মঙ্গলবার রাতে জানান, এটা এখনো তৈরি করা হয়নি। কমিশন বৈঠকে ঠিক করা হবে। ইসি সূত্র জানায়, এর আগে কোনো নির্বাচনে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
নিয়ম অনুযায়ী, কমিশন নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। পরে তা ভেটিং হয়ে আসলে এসআরও নম্বর দিয়ে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে কথা হলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, জেলা পরিষদ আইনের ১৯ নম্বর ধারা অনুসারে স্থানীয় সরকারের জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনের তারিখ গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকার ঘোষণা করে। সেইভাবেই জানতে পেরেছি ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য সরকার তারিখ ঘোষণা করেছে। সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি ও নির্বাচন পরিচালনাবিধি তৈরি করার কাজ করছি। আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) কমিশন বৈঠকে এটা চূড়ান্ত করবো বলে আমাদের আশা রয়েছে।
এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা কবে হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু অন্যান্য নির্বাচনের মতো ৪০ থেকে ৪৫ দিন হাতে রেখে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। সেই জন্য আমরা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বা মাঝামাঝি এ নির্বাচনের তফসিলটা ঘোষণা করবো।
নির্বাচনের আচরণবিধি সম্পর্কে তিনি বলেন, অন্যান্য নির্বাচনের থেকে এ নির্বাচনের আচরণবিধিটা একটু আলাদা হবে। যেহেতু নির্দিষ্ট কিছু নির্বাচকমণ্ডলী এবং এই নির্বাচকমণ্ডলীরা বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের থেকে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের যারা নির্বাচিত প্রতিনিধি তারাই নির্বাচকমণ্ডলী।
সেইজন্য প্রচারণার জন্য কোনো মাইক ব্যবহার করা, জনসভা করা, পথসভা করার বিষয়গুলো আমরা বাদ দিয়েছি। এভাবে আচরণবিধিটা করা হয়েছে। শুধুমাত্র ঘরোয়াসভা ও অন্যান্য প্রচারণা করতে পারবে। এছাড়া অন্যান্য নির্বাচনে যেসব সম্মানীয় ব্যক্তিকে নির্বাচনের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে। তারা এই ক্ষেত্রেও বিরত থাকবেন।
একটি জেলায় ১৫টি ওয়ার্ড আছে, প্রত্যেকটিতে ওয়ার্ডভিত্তিক নির্বাচন হবে। ওয়ার্ডভিত্তিক মেম্বারদের নির্বাচন করা হবে এবং সব ওয়ার্ডের ফলাফল একীভূত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হবে বলে যোগ করেন তিনি।