নিজস্ব প্রতিবেদক : বেনাপোল সীমান্তে জিরো লাইনে ১৮-এ ৩ এস পিলারের পাশে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ায় এক যুবকের শার্ট ঝুলছে। পাশেই সীমান্তঘেঁষে নিচে পড়ে রয়েছে ফেলানীর মতো তার আরেক বাংলাদেশি ভাইয়ের মরদেহ। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে নিহত ফেলানীর মতো একই কায়দায় এই যুবককেও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
বুধবার সন্ধ্যায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মরদেহটি সেখানে পড়েছিল। তবে প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর অনন্তপুর সীমান্তে ৯৪৭নং আন্তর্জাতিক পিলারের ৩নং সাব-পিলারের পাশে ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ।
ফেলানী হত্যার বিচারের জন্য দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম আর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর চাপের মুখে দীর্ঘ আড়াই বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হলেও আজো সেই বিচার ঝুলে আছে। এরই মধ্যে তার আরেক বাংলাদেশি ভাইয়ের হত্যার খবর সামনে এলো।
এ বিষয়ে বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার বিকেলে বেনাপোল সীমান্তের জিরো লাইনে ১৮-এ ৩ এস পিলারের পাশেই পেট্রাপোল বন্দর নতুন টার্মিনাল (কাঁটাতার বেষ্টিত) প্রাচীরের পাশেই একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন মাঠে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যাওয়া এক বাংলাদেশি নারী।
পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দেয়া হয়। এ সময় মরদেহ দেখতে মাঠে ভিড় করে আশপাশ এলাকার লোকজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনিতে রয়েছে ভারতের পেট্রাপোল টার্মিনাল। তিন শতাধিক বিএসএফ দায়িত্বে রয়েছেন সেখানে। টার্মিনালের প্রাচীরের উপরে কাঁটাতার দিয়ে বেড়া তৈরি করা হয়েছে। বিএসএফ বা অন্য কেউ টার্মিনালের ভেতরে থাকা কোনো ড্রাইভার বা হেলপারকে মেরে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে দিতে পারে। একপর্যায়ে কাঁটাতার থেকে মরদেহটি নিচে পড়ে যায়। তবে নিহতের গায়ের শার্ট সেখানেই ঝুলে রয়েছে।
বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই মুহূর্তে নিহতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তারা এ বিষয়ে ভারতের বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।