আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বিশ্বের নানা প্রান্তে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ পরিচয়টিই একমাত্র পরিচয় নয়। বহু আগে থেকেই নানা ব্যবসায় তিনি পরিচিত মুখ। এছাড়া তার বিলাসবহুল জীবনযাপনও বহু মানুষের আগ্রহের বিষয়। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তার বিলাসবহুল জীবনযাপনের চিত্র। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন ডলার। আর এ অর্থ তিনি ব্যবহার করেন নানা বিলাসিতা ও ব্যবসা সম্প্রসারণের কাজে। তবে সম্প্রতি সম্পদের মূল্য কমে যাওয়ায় তার সম্পদের মূল্যও কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফিফথ এভিনিউতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ভবন রয়েছে। ৬৮ তলার এ ভবনের পেন্টহাউজে তিনি বাস করেন।
ট্রাম্পের পেন্টহাউজে রয়েছে স্বর্ণ ও হীরা খচিত নানা সাজসজ্জা। এমনকি তার অ্যাপার্টমেন্টের দরজাতেও রয়েছে দারুণ সজ্জা। অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরের ফোয়ারা, সিলিংয়ে রয়েছে স্বর্ণখচিত ডিজাইন।
ট্রাম্প যখন তার নিউ ইয়র্কের বিলাসী জীবনে একঘেয়ে হয়ে যান তখন তিনি তার ১০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বোয়িং ৭৫৭ বিমানে করে অন্য প্রাসাদে চলে যান।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিমানের সিটবেল্টগুলো স্বর্ণখচিত। বিমানের ভেতর ট্রাম্পের যে বিছানা তৈরি করা আছে তার বালিশগুলোর এমব্রয়ডারিও তার পরিবারের ঐতিহ্য প্রকাশ করে।
বিমানে না থাকলে ট্রাম্প তার মূল্যবান রোলস রয়েস গাড়িতে চড়েন। আর সে গাড়িটি ছাড়াও তার রয়েছে ইলেক্ট্রিক ব্লু ল্যাম্বার্গিনি গাড়ি ও একটি মার্সিডিস বেঞ্জ এসএলআর ম্যাকলরেন গাড়ি।
১৯৮৫ সালে ট্রাম্প ফ্লোরিডার পাম বিচে ১০ মিলিয়ন ডলারে একটি প্রাইভেট এস্টেট কেনেন। এতে দারুণ বাড়ি ছাড়াও ১৭ একর মনোরম স্থান রয়েছে।
ট্রাম্প ট্রাম্প ফ্লোরিডার পাম বিচে থাকা তার বাড়িটিকে একটি এক্সক্লুসিভ প্রাইভেট ক্লাব বানিয়েছেন। এ বাড়িটি ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বিশাল রাজপ্রাসাদ।
ট্রাম্পের পাম বিচের বাড়িটিতে রয়েছে ৫৮টি বেডরুম, ৩৩টি বাথরুম ও ১২টি ফায়ারপ্লেস। এছাড়া বাড়িটিতে তিনটি বোম্ব শেল্টার রয়েছে, যেখানে বোমা হামলা হলে লুকিয়ে থাকা যায়।
১৯৯৫ সালে ট্রাম্প ২১৩ একর জমি ও সংযুক্ত সম্পত্তি কেনেন নিউ ইয়র্কের বেডফোর্ডে, যার নাম সেভেন স্প্রিংস। এতে ৩৯ হাজার বর্গফুটের একটি পাথর ও কাচের তৈরি প্রাসাদ রয়েছে।
নিউ ইয়র্কের বেডফোর্ডের সেভেন স্প্রিংস কেনার পেছনে সাড়ে সাত মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন ট্রাম্প। তিনি একে একটি গলফ কোর্স বানাতে চান। তবে স্থানীয়রা তার বিরোধীতা করায় শেষ পর্যন্ত তা করা সম্ভব হয়নি। বাইকে চড়ার জন্য একটি কাস্টম বাইক তৈরি করেন ট্রাম্প। এটি ২৪ ক্যারাটের গোল্ড ও অন্যান্য মূল্যবান উপাদান দিয়ে তৈরি হয়।
২০১১ সালে ট্রাম্প ভার্জিনিয়া রাজ্যের প্যাট্রিসিয়া ক্লুগেস শার্লোটেসভাইল এস্টেট কেনেন। এজন্য তিনি সাড়ে ছয় মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন। এতে রয়েছে ২৩ হাজার বর্গফুট প্রাসাদ।
ট্রাম্পের অ্যালবেমার্লে এস্টেটে আরেকটি দারুণ বিলাসবহুল প্রাসাদ রয়েছে। এটির আয়তন প্রায় ২৬ হাজার বর্গফুট। এতে ৪৫টি কক্ষ, একটি মুভি থিয়েটার, ঘোড়াশাল, গ্রিনহাউজ ও গেস্ট কটেজ রয়েছে। ট্রাম্প তার পুত্র এরিখের কাছে হস্তান্তর করেছেন ভার্জিনিয়ার সবচেয়ে বড় আঙ্গুর খেত।
২০১৫ সালে ট্রাম্প তার এস-৭৬ হেলিকপ্টার নতুন করে সাজান। আর এজন্য তার ব্যয় হয় সাড়ে সাত লাখ ডলাল। এতে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্লেটিংও করানো হয়। পাম বিচে ট্রাম্প আরেকটি ম্যানসন কেনেন। অবশ্য ২০০৮ সালে এটি তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন রাশিয়ান টাইকুন দিমিত্রি রাইবলোভলেভের কাছে।