নিজস্ব প্রতিবেক :
রোববার দুপুরে খুলনার সার্কিট হাউজের সামনের সড়ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দিঘলিয়া থানায় আরো একটি চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক এসএম শামীম ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান গাজী পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের ঘটনা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে সোনাডাঙ্গা থানায় রাখা হয়েছে। আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহা উপলক্ষে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য গত ৮ সেপ্টেম্বর দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গোডাউনে ১৫০ বস্তা চাল কম পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় গোডাউন সিলগালা করা হয়। বাইরে থেকে চাল এনে ঘাটতি পূরণ ও অনিয়ম ঢাকার চেষ্টা করলে পুলিশ ১৫০ চাল জব্দ করে। এ ঘটনায় ওই দিনই ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান গাজীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহমান। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে প্রেরণ করা হয়।
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানকে সোনাডাঙ্গা থানায় রাখা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি মামলাও রয়েছে।