দুই নারীকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড হয় ভারতের বিতর্কিত ধর্ষকগুরু রাম-রহিমের। জেলে যাওয়ার পর তার জীবনের নানা অন্ধকার দিক তুলে ধরে গণমাধ্যম। আশ্রম চালানোর নামে নারী সন্ন্যাসীদের নিপীড়নসহ নানা অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয় তার আশ্রমমন এক ভণ্ড বাবার কড়া শাস্তির দাবি উঠে ভারতের দিকে দিকে। তবে তার অনুসারীদের দাবি তাদের ‘বাবার’ বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
এসবের মধ্যে কেমন চলছে ধর্ষক রাম-রহিমের কারাবাস, জানার আগ্রহ রয়েছে সবার মধ্যেই।
তবে সদ্য জেল ফেরত ব্যক্তি রাহুলের বক্তব্য তুলে ধরে ভারতীয় গণমাধ্যম রাম-রহিমের জেলজীবনের চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছে।
রোহতক জেলে নাকি রাজার হালে রয়েছেন রাম-রহিম। নিয়ম ভেঙে তাকে দেয়া হয় বিশেষ সুবিধা। চলে বিশেষ খাতিরযত্নও।রোহতক থেকে মুক্তি পাওয়া রাহুল নামে ওই যুবক জানান, রাম-রহিমকে জেলের কোনো কাজই করতে হয় না। জেলকর্মীরাই তাকে কোনো কাজ করতে দেন না। উল্টো সবসময় বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন তিনি।
রাহুলের দাবি, রাম-রহিম জেলে আসার পর থেকেই বন্দিদের ওপর নানা বিধিনিষেধ জারি হয়। রাম-রহিম সেলের বাইরে থাকলে বন্দিরা ইচ্ছামতো কোথাও যেতে বা কথা বলতে পারবেন না বলে অলিখিত নির্দেশিকা জারি হয়।
শুধু তাই নয়, জেলে কোনো কাজ না করে রাম-রহিম কেবল খবরদারি করে বেড়ায় বলে অভিযোগ তার।
রাহুলের কথায়, ‘আমরা কেউই কোনোদিন জেলে রাম-রহিমকে কাজ করতে দেখিনি। কোনো দিন কাজ করেছে বলে মনেও হয় না।’
রাহুলের আরও অভিযোগ, জেলে দেখা করতে আসা আত্মীয়দের সঙ্গে রাম-রহিম ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেন। গত মাসেই নাকি এক আত্মীয়ের সঙ্গে দুই ঘণ্টা ধরে কথা বলেছে রাম-রহিম।
তবে জেলের নিয়মানুযায়ী, বন্দিদের পরিজনদের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২০ মিনিট কথা বলার সুযোগ রয়েছে।
রাহুলের দেয়া তথ্যে রোহতক জেলের কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে এ বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।