রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনি বিষয়ে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হবে।
বুধবার চতুর্থ দিনে আইনি ভিত্তি তুলে ধরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ও আকরামউদ্দিন শ্যামল। এরপর মামলার প্রধান প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান তার সমাপনী যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। তার বক্তব্য শেষ না হওয়ায় আগামী ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর অসমাপ্ত শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন বিচারক।
পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার-সংলগ্ন ভবনে এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরউদ্দিনের আদালতে গ্রেনেড হামলার দুই মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে।
রেজাউর রহমান বলেন, এক যুগের বেশি সময় পর আমরা দুটি মামলা একসঙ্গে এ পর্যায়ে আনতে পেরেছি। ২২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪১ জন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানের জবানবন্দি সমর্থন করেছে। আসামিপক্ষ থেকে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ৬১ জন সাক্ষীর পর অধিকতর তদন্ত নিয়ে। এখানে আইনগত পদ্ধতি অনুসরণ করেই সব কিছু করা হয়েছে, আইনের কোনো লঙ্ঘন হয়নি। আসামি হান্নানের স্বীকারোক্তির মধ্যে একটি অংশে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের তথ্য আছে। এটা আদালতকে বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম গত ২১ আগস্টের আগে মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষ করতে, সম্ভব হয়নি। আশা করছি আগামী ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটির কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর রায়ের জন্য দিন ধার্য করবেন আদালত।
এর আগে এ মামলায় আইনি পয়েন্টে যুক্তি উপস্থাপনা করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, গ্রেনেড হামলার সময় ২৪ জনের প্রাণ গেছে, শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য সেই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন। এ হামলায় ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম ও আলামত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
এ মামলার আরেক আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল বলেন, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানের দ্বিতীয়বার জবানবন্দি নেওয়াটা সঠিক ছিল। এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। তা ছাড়া এ মামলায় সাক্ষ্য আইনের ১০ ও ২২ ধারা প্রয়োগ হতে পারে না বলে যে বিবাদীপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করেছে তাও গ্রহণযোগ্য নয়। বুধবার আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন এসএম শাহজাহান।