আগামী ১৩ অক্টোবর পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ ও স্থায়ী নদী তীর প্রতিরক্ষাসহ চারটি উদ্ভাবনী প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বনানী সেতু কর্তৃপক্ষ ভবনে এক প্রস্তুতি সভা শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ কবে শেষ হবে, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে তা জানা যাবে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে শতকরা ৫৯ ভাগ এবং মূল সেতুর অগ্রগতি হয়েছে ৭০ ভাগ।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক তাদের অর্থায়ন প্রত্যাহার করার পরও প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করেন। তাঁর সাহসী সিদ্ধান্তের ফলেই আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়েছে।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ মুজিবুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মাওয়া-কান্দিপাড়া মশালদিয়া এলাকায় স্থায়ী নদীর তীর রক্ষামূলক প্রকল্প, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ এবং অগ্রগতির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা করেন।
সভায় সাংসদ কর্নেল (অব.) শওকত আলী, নূরে আলম চৌধুরী লিটন, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, নাইম রাজ্জাক, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব আনোয়ারুল ইসলামসহ পদ্মা সেতু প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ অক্টোবর পদ্মা সেতু এলাকায় চারটি প্রকল্প উদ্বোধন শেষে দুই তীরে দুটি জনসভায় ভাষণ দেবেন। সভায় জনসভার স্থান নির্ধারণ ও প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা করা হয়। ৮ অক্টোবর পদ্মা সেতু এলাকায় আরেকটি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হবে।