বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরের প্রশ্ন তুলে মানিকগঞ্জের জেলার সবার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ বিষয়ে দলের মহাসচিবের স্বাক্ষরিত অভিযোগের চিঠি নিয়ে রবিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে জমা দেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার।
এ বিষয়ে বিজন কান্তি সাংবাদিকদের বলেন, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মির্জা ফখরুল সাহেবের স্বাক্ষর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমন প্রশ্ন তুলে আমাদের সব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছে। আমরা যোগাযোগ করেছি এবং মির্জা ফখরুলও কমিশনে যোগাযোগ করেছেন এটা তার স্বাক্ষর। যাতে এর জন্য প্রার্থীদের হয়রানি না করা হয় এবং তাদের মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা ইসি সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি আমাদের জানিয়েছেন যেহেতু কথা বলার আগেই ডিসি সাহেব মনোনয়ন বাতিল করেছেন এখন তার পক্ষে এটি গ্রহণ করার সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, এটা খুবই একটা নির্মম ঘটনা। ৬৪ জেলায় কেউই প্রশ্ন তুলল না, স্বাক্ষর মহাসচিব সাতশ’ এর বেশি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সেখানে একটু এদিক সেদিক হতে পারে। এরপরও কনফার্ম করার পরও এটি বাতিল করা হলো। তারা এখন আপিল করবেন। আপিল হয়ত গৃহীতও হবে। যেহেতু আমরা আমরা কমিশনে যোগাযোগ করেছি। নির্বাচন আইনেও বলা হয়েছে এসকল সারবেত্তাহীন কোন অভিযোগের কারণে বা কোন কফিউশনের কারণে কাউকে যেন নির্বাচনের প্রার্থীতা থেকে বঞ্চিত করা না হয়। মানিকগঞ্জের ডিসি কেন এমন আচরণ করলেন এটাই আমাদের প্রশ্ন। আমরা আশা করছি আপিলের মাধ্যমে তাদের মনোনয়ন গৃহীত হবে। আমরা কমিশনের কাছে কোন অভিযোগ করিনি। আমরা বলেছি যাতে তার স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক কর্তৃক দলীয় মনোনয়ন পত্রে আমার প্রদত্ত স্বাক্ষর গ্রহণ করছেন না। যা অনাকাঙ্খিত। আমি দৃঢ়তার সাথে জানাচ্ছি যে মানিকগঞ্জ জেলার প্রতিটি আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র প্রার্থীরা আমরা সুপরিচিত এবং আমি নিজে তাদের মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেছি। এ বিষয়ে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। আমার স্বাক্ষর গ্রহণ করার জন্য মানিকগঞ্জসহ সকল জেলা প্রশাসককে তড়িত নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।