ব্লিঙ্কেন জানান, মার্কিন কর্তৃপক্ষ কাবুলে থাকা প্রায় এক হাজার মার্কিনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। নিরাপদে কাবুল থেকে তাঁদের সরিয়ে নিতে আলোচনা চলছে। এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আফগানিস্তানে আটকে পড়া মার্কিনদের নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যার কথা এই প্রথমবারের মতো জানানো হলো। পররাষ্ট্র দপ্তর এর আগে জানায়, আফগানিস্তানে মার্কিনদের সংখ্যা নিয়ে তাদের সঠিক কোনো ধারণা নেই। আফগানিস্তানে যাওয়ার পর দূতাবাসে নিজেদের নাম তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ থাকলেও অনেকেই তা না করায় এমন বিপত্তি ঘটেছে।
তালেবান ক্ষমতায় যাওয়ার পরে আফগানিস্তানে মার্কিনদের সাহায্য করা লোকজন দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ ভিসার মাধ্যমে এসব আফগানকে অভিবাসনসুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানের এমন কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদেশগুলোর অনেকে কাবুলে আটকা পড়েছেন। তাঁদেরও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, ৩১ আগস্টের মধ্যে সবাইকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখতে আইনপ্রণেতা ও সামরিক বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থক আফগানদের নিরাপদে দেশ ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের ১১৪টি দেশ তালেবান কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ফরেন রিলেশনস কমিটির প্রভাবশালী সদস্য কংগ্রেসম্যান ব্র্যাড শারমেন বলেন, কাবুলে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের স্বার্থ এক নয়। যুক্তরাষ্ট্র তাদের সমর্থক আফগানদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে ইচ্ছুক। তালেবান সেসব মার্কিন–সমর্থক আফগানকে ক্ষতি করতে চায়। সতর্কতার সঙ্গে তাঁদের সরাতে না পারলে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।